ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে তারা ক্যারিবিয়ানদের হারায় ৬৪ রানে। এই ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হচ্ছে সাদমান ইসলামের।
পেসার ছাড়াই একাদশ সাজিয়েছে স্বাগতিকরা। এই প্রথমবার কোনো পেসার না নিয়েই টেস্ট খেলছে বাংলাদেশ। চোট পেলেও মুশফিকুর রহিম একাদশে আছেন, কিন্তু উইকেটরক্ষক হিসেবে অন্তর্ভুক্তি হয়েছে লিটন দাসের।
বাংলাদেশ এ পর্যন্ত টেস্ট সিরিজ জিতেছে ৩টি। দুটি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এবং একটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ২০০৯ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করেও অতৃপ্তি ছিল সেই কারণে। মুশফিকদের নামের সামনে তিনটি সিরিজ জয় মূলত দুর্বল প্রতিপক্ষের বিপক্ষে। এর আগে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও সিরিজ জয়ের সুযোগ পেয়ে তা হাতছাড়া হয়েছে।
এবার বাংলাদেশের সামনে এই অপবাদ মুছে ফেলার সুযোগ। আজ শুক্রবার থেকে শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্টে পরাজয় এড়াতে পারলেই ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে দ্বিতীয় বারের মতো পকেটে পুরে ফেলা যাবে সিরিজ। জিতলে যোগ হবে আরও একবার প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করার তৃপ্তি। একই সঙ্গে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রথমবার টেস্টে হারিয়ে দেশের মাটিতে ক্যারিবীয়দের হোয়াইটওয়াশের সুবর্ণ সুযোগ।
গত ৯ বছরে পৃথিবীর অনেক কিছু বদলে গেলেও ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের চিত্র বদলায়নি। একে অন্যের বিপক্ষে ৪টি টেস্ট সিরিজ খেলেছে। সেই ৪টিতেই সিরিজ জয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যার মধ্যে ৩টিতেই আবার বাংলাদেশকে করেছে হোয়াইটওয়াশ।
সর্বশেষ গত জুলাইয়েও ক্যারিবীয়ান সফরে গিয়ে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজটা ২-০ তে হেরেছে বাংলাদেশ। অবশেষে চট্টগ্রামে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে তৃতীয় জয়ের পর এখন টাইগারদের সামনে টেস্ট সিরিজ জয়ের হাতছানি।
বাংলাদেশ দল:
সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ মিঠুন, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, নাঈম হাসান, সাদমান ইসলাম, তাইজুল ইসলাম।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল:
ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট (অধিনায়ক), কিয়েরন পাওয়েল, শাই হোপ, সুনীল আমব্রিস, রোস্টন চেজ, শিমরন হেটমায়ার, শেন ডাউরিচ, জোমেল ওয়ারিকান, দেবেন্দ্র বিশু, কেমার রোচ, শারমন লুইস।