শ্রীলঙ্কা মন্ত্রীদের বেতন ও ভ্রমণ ব্যয় কমাচ্ছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মন্ত্রীদের বেতন ও ভ্রমণ ব্যয় কমাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। শুক্রবার এ সংক্রান্ত একটি বিল উত্থাপন হয়েছে দেশটির পার্লামেন্টে। তবে এই সিদ্ধান্ত বিতর্কিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষের ওপর কী প্রভাব ফেলবে, তা এখনই পরিষ্কার নয়। কারণ রাজাপক্ষের নিজস্ব মন্ত্রীরাই বৃহস্পতিবার ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এক মাস ধরে দক্ষিণ এশিয়ার এই দ্বীপ দেশটিতে রাজনৈতিক বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। গত মাসে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেকে সরিয়ে রাজাপক্ষেকে নিয়োগ দেন। এরপর দেশটিতে সাংবিধানিক সংকট দেখা দেয়।

universel cardiac hospital

এদিকে দেশটির নতুন সরকার অন্য দেশগুলোর অনুমোদন এখনো পায়নি।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিক্রমসিংহ সমর্থিতরা নতুন প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমাতে তার কার্যালয়ের বাজেট নিয়ন্ত্রণে প্রস্তাব আনেন। পরে ২২৫ সদস্যের পার্লামেন্টে প্রস্তাবটি ১২৩-০ ভোটে পাস হয়। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার মন্ত্রীদের বেতন ও ভ্রমণ খরচ কমানোর প্রস্তাবটি আনা হয়। তবে রাজাপাকসেপন্থি সাংসদরা ভোট বয়কট করে। রাজাপাকসের অনুগতরা পার্লামেন্টে উত্থাপিত এসব প্রস্তাবকে অবৈধ হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছেন।

কয়েক মাস ধরে শ্রীলংকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ‘সিরিসেনাকে হত্যায় ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রচেষ্টা’ নিয়ে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রনিল বিক্রমসিংহের সম্পর্ক ভাল যাচ্ছিলো না। তাদের দুইজনের দ্বন্দ্বে রাজনীতিতে অস্থিরতা তৈরি হয়। এর জেরে বর্তমান জোট সরকার থেকে সমর্থন তুলে নেয় প্রেসিডেন্ট সিরিসেনার রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড পিপলস ফ্রিডম অ্যালায়েন্স। এক সময়ের মিত্র রাজাপাকসের দিকে ঝুঁকে পড়েন সিরিসেনা। এরপরই ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি হতে আসা প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহকে বহিষ্কার করেন প্রেসিডেন্ট।

উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কায় সরকার ব্যবস্থায় প্রেসিডেন্টই সবচেয়ে বেশি ক্ষমতাধর। এখানে প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টের নেতৃত্বে থাকলেও নির্বাহী ক্ষমতা থাকে প্রেসিডেন্টের হাতে। মন্ত্রিসভাও তার অধীনেই পরিচালিত হয়।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে