বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভার শেষ বৈঠকটি আজ সোমবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তবে ক্ষমতা হস্তান্তর পর্যন্ত বর্তমান সরকারই কার্যকর থাকবে।
মন্ত্রিসভার একজন সদস্য জানিয়েছেন, গত সপ্তাহের সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩ ডিসেম্বর (আজ) মন্ত্রিসভার শেষ বৈঠক হওয়ার বিষয়টিতে সায় দেন।
জানা গেছে, সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে মন্ত্রিসভার সদস্য চার টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীও উপস্থিত থাকবেন। তাদের পদত্যাগের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
মন্ত্রিসভার ওই সদস্য আরো জানান, আজকের বৈঠকে কিংবা বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চার টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
এদিকে, সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে পরবর্তী নির্বাচন হতে হবে। সংবিধানের ১২৩ (৩) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘সংসদ সদস্যদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে (ক) মেয়াদ অবসানের কারণে সংসদ ভাঙ্গিয়া যাইবার ক্ষেত্রে ভাঙ্গিয়া যাইবার পূর্ববর্তী নব্বই দিনের মধ্যে’।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বর্তমান সংসদের প্রথম অধিবেশন বসেছিল ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি। সে হিসাবে সংসদের ৫ বছরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি। এর ৯০ দিন আগে অর্থাৎ ২৯ অক্টোবর থেকে আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে যে কোনো দিন একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
যদিও, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়েছে। ঘোষিত পুনঃতফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে আগামী ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে জয়ী দল একাদশ জাতীয় সংসদের সরকার গঠন করবে।
সংবিধানের ৫৭(৩) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর উত্তরাধিকারী কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীকে স্বীয় পদে বহাল থাকিতে এই অনুচ্ছেদের কোনোকিছুই অযোগ্য করিবে না।
সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর অর্থ হচ্ছে যিনি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন, তিনি নতুন একজন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব না নেওয়া পর্যন্ত স্বপদে বহাল থাকবেন। নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান কাজ হচ্ছে সংসদ বহাল রেখে সরকারের রুটিনওয়ার্ক পরিচালনা এবং নির্বাচন কমিশনকে অবাধ নির্বাচন আয়োজনে সহায়তা করা।