চেম্বার আদালত কুমিল্লার নাশকতার মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত করেননি। জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন চেম্বার বিচারপতি।
আগামী বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে সে আবেদনের ওপর শুনানি হবে।
মঙ্গলবার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এ আদেশ দেন। এর ফলে হাইকোর্টের দেয়া জামিন আপাতত বহাল রইল বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
এদিন খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন, এজে মোহাম্মদ আলী।
শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল ও অ্যাডভোকেট ফারুক হোসেন প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশিরউল্লাহ।
বশিরউল্লাহ জানান, গত ২৮ নভেম্বর হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার জামিন মঞ্জুর করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে জামিন স্থগিত না করে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন চেম্বার আদালত। আগামী বৃহস্পতিবার সে আবেদনের ওপর শুনানি হবে।
এর আগে গত ২৮ নভেম্বর এ মামলায় খালেদা জিয়াকে জামিন দেন বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এসএম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কাভার্ডভ্যান পোড়ানোর মামলায় খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে ৩২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। এই মামলায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার জেলা ও দায়রা জজ আদালত খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন। ওই খারিজের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে জামিন চান তিনি।
আইনজীবীরা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়াকে মুক্তি পেতে হলে জিয়া অরফানেজ ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা এবং কুমিল্লায় বাসে অগ্নিসংযোগে মানুষ মারা যাওয়ার ঘটনায় করা হত্যা মামলায় জামিন পেতে হবে। অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকার পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন তিনি। পরে এই মামলায় হাইকোর্ট তাকে ৫ বছরের পরিবর্তে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন।
এছাড়া গত ৩০ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন। এ নিয়ে দুটি মামলায় তিনি এখন ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত।