ফোর্বসের তালিকা : শেখ হাসিনা বিশ্বে ২৬তম ক্ষমতাধর নারী

ডেস্ক রিপোর্ট

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বের ক্ষমতাধর ১০০ নারীর তালিকায় অবস্থানের আরো উন্নতি ঘটেছে। এবার তিনি আছেন ২৬তম অবস্থানে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অর্থ-বাণিজ্য বিষয়ক সাময়িকী ফোর্বস প্রতিবছরের মতো ২০১৮ সালের এই তালিকা করেছে।

universel cardiac hospital

ফোর্বসের গত বছরের তালিকায় শেখ হাসিনা ছিলেন ৩০তম অবস্থানে। ২০১৬ সালে তিনি ছিলেন ৩৬ নম্বরে। আর ২০১৫ সালের তালিকায় তাঁর অবস্থান ছিল ৫৯তম।

অর্থাৎ এই তালিকায় ধারাবাহিকভাবে উন্নতি ঘটেছে বাংলাদেশে সবচেয়ে দীর্ঘসময় ধরে একটানা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা শেখ হাসিনার।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার প্রকাশিত ২০১৮ সালের তালিকায় শীর্ষস্থানটি ধরে রেখেছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল। তাঁর পরের অবস্থানে রয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে।

তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন আইএমএফ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টিন লগার্ড, চতুর্থ স্থানে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল মোটরসের চেয়ারপারসন ও সিইও মেরি বারা, পঞ্চম স্থানে রয়েছেন ফিডেলিটি ইনভেস্টমেন্টসের সিইও আবিগেইল জনসন। মেলিন্ডা গেটস রয়েছেন ষষ্ঠ স্থানে।

ক্ষমতাধরদের এই তালিকায় হলিউডের এই সময়ের সবচেয়ে দামি অভিনেত্রী টেইলর সুইফট রয়েছেন ৬৮তম স্থানে, বলিউড তারকা প্রিয়াংকা চোপড়া আছেন ৯৪তম স্থানে। খেলোয়াড়দের মধ্যে টেনিস তারকা সেরেনা উইলিয়াম রয়েছেন ৭৯তম স্থানে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সাময়িকী ফরচুনের করা বিশ্বের প্রভাবশালী শীর্ষ নেতাদের তালিকায় স্থান পেয়েছিলেন শেখ হাসিনা। প্রভাবশালীদের তালিকায় তাঁকে রেখেছিল টাইম ম্যাগাজিনও।

শেখ হাসিনাকে ফোর্বসের তালিকায় স্থান দেওয়ার ক্ষেত্রে মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি দুই বছর আগে এই ফোর্বসের তালিকায় ২৬তম অবস্থানে ছিলেন।

গত বছর তাঁর অবস্থান ৭ ধাপ পিছিয়ে যায়। এবার শেখ হাসিনা ২৬তম স্থানে উঠে এলেও সু চির স্থান হয়নি ১০০ জনের মধ্যে। ২০০৪ সালের পর এই প্রথম তালিকায় স্থান পাননি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনও।

ফোর্বস সাময়িকী শেখ হাসিনার পরিচয় ও অবদান উল্লেখ করতে গিয়ে লিখেছে, ২০১৭ সালে শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও তাদের জন্য বাংলাদেশের দুই হাজার একর জমি বরাদ্দ দিয়েছেন। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে প্রাণে বাঁচতে এই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এ ছাড়া ‘বাংলাদেশ স্থায়ীভাবে রোহিঙ্গাদের বোঝা মাথায় নেবে না’—এ লক্ষ্যে রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে কাজ করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা।

 

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে