একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন কারাবন্দি খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে করা রিটের বিভক্ত আদেশের পর তা আবার শুনানির জন্য নতুন বেঞ্চ গঠন করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসানের একক বেঞ্চে এ সংক্রান্ত নথি পাঠানো হয়েছে। মনোনয়নপত্র বাতিল করায় দণ্ডিত খালেদা জিয়ার ৩টি আবেদনের শুনানি এখন এই বেঞ্চে শুনানি হবে।আজ বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।
নির্বাচনে অংশ নিতে ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও ৭ আসনে খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে করা রিট আবেদনের ওপর মঙ্গলবার বিভক্ত আদেশ দেন হাইকোর্ট। ফলে মামলাটির নথি প্রধান বিচারপতির কাছে যায়।
বুধবার হাইকোর্টের বিভক্ত আদেশের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি না লেখায় তা সংশ্নিষ্ট বেঞ্চে ফেরত পাঠান প্রধান বিচারপতি।
প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট্র দুর্নীতি মামলায় ১০ বছর এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট্র দুর্নীতি মামলায় ৭ বছরের দণ্ড নিয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে খালেদা জিয়ারপক্ষে ৩টি মনোনয়নপত্র ক্রয় করেন বিএনপির নেতারা। সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে গত ২ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন ৩টি (ফেনী-১. বগুড়া-৬ ও ৭) আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
পরবর্তী সময়ে তাদের এ সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ৫ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করেন খালেদার আইনজীবীরা। আবেদনে নির্বাচনবিধি (১২)-১ এর ‘ঘ’ অনুসারে মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করা হয়।
হাইকোর্টে এক মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কারও দুই বছরের বেশি সাজা বা দণ্ড হলে সেই দণ্ড বা সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, যতক্ষণ না আপিলে ওই দণ্ড বাতিল বা স্থগিত হয়।
গত ৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে আপিলের শুনানির পর সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে খালেদা জিয়ার তিনটি আসনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে ৫ সদস্যের নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্ত দেন।
প্রার্থিতা বাতিল করা নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার পক্ষে রিট দায়ের করা হয়। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।