একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় যেতে পারলে দলটির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশে প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা, নির্বাচন পদ্ধতি সংস্কার, ধর্মীয় মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, পূর্ণাঙ্গ উপজেলা ব্যবস্থা প্রবর্তনসহ ১৮টি অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করবেন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে এইচ এম এরশাদের অনুপস্থিতিতে সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ও পার্টির প্রাক্তন মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার শুক্রবার এসব অঙ্গীকার ব্যক্ত করে দলের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতা, স্বার্বভৌমত্ব, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের চেতনা, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং যথার্থভাবে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে জাতীয় পার্টি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের যাত্রায় শামিল। এই অভিযাত্রায় আমাদের লক্ষ্য হলো দেশ ও জনগণের কল্যাণ সাধণ করা।
হাওলাদার বলেন, ৯ বছরের সরকার পরিচালনার সাফল্যের অভিজ্ঞতা নিয়ে জনগণের ভোটে আমরা ক্ষমতায় যেতে চাই। আমরা জনগণের প্রত্যাশা পুরণ করতে চাই। আগামী দিনের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমরা ১৮টি অঙ্গীকার করছি। আমরা ক্ষমতায় গেলে এসব অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করবো।
ইশতেহার ঘোষণাকালে জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ১৮ দফার অঙ্গীকার এদেশের জন্য সৌভাগ্যের প্রতীক। জাতীয় পার্টির উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মূল ভিত্তি ছিল ১৮ দফা কর্মসূচি। যার ফলে দেশে উন্নয়ন সমৃদ্ধি ও সংস্কারের এক নব দিগন্ত সৃষ্টি হয়েছিল। জাতীয় পার্টির শাসনামলের সেই উন্নয়নের চিহ্ন দেশ এখনো ধারণ করে আছে। যারা ১৯৮২ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সময়ের দেশ পরিচালনা প্রত্যক্ষ করেছেন তারা এখনো স্মরণ করেন সেই স্বর্ণোজ্জ্বল দিনের কথা। অর্থনৈতিক মুক্তি, সামাজিক নিরাপত্তা, সমৃদ্ধ দেশ গড়া, ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার আশায় এদেশের জনগণ বারবার আন্দোলন করেছে, রক্ত দিয়েছে, জীবন দিয়েছে, একের পর এক সরকার পরিবর্তন করেছে কিন্তু তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত সব বিবেচনা এবং সব পরীক্ষা-নিরীক্ষায় এটা প্রমাণিত ও পরীক্ষিত সত্য যে, জাতীয় পার্টিই হচ্ছে সেই রাজনৈতিক দল।
এসময় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য দেলোয়ার হোসেন খান, এস.এম. ফয়সল চিশতী, ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান খান, আলমগীর সিকদার লোটন, যুগ্ম মহাসচিব মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, শেখ আলমগীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল্লাহ শফি, ফখরুল আহসান শাহজাদা, মোস্তাফিজুর রহমান নাঈম, হেলাল উদ্দিন, একেএম আশরাফুজ্জামান খান, সুলতান মাহমুদ, এম.এ. রাজ্জাক খান, ডা. সেলিমা খান, সৈয়দ পারভীন তারেক, গোলাম মোস্তফা, কাজী আবুল খায়ের, সুমন আশরাফ, শাহিদা রহমান রিংকু, চৌধুরী গোলাম আহমেদ মিলু, মিজানুর রহমান মিরু, ফজলে এলাহী সোহাগ, প্রিন্সিপাল গোলাম মোস্তফা, সেকেন্দার আলী মুকুল, নাজমুল খান, দ্বীন ইসলাম শেখ, সরদার নজরুল, খায়রুল আলম মামুন, জাকির মাহমুদ, এইচ.এম.মাসুদ আলী মামুন, এম. মহিবুর রহমান, খন্দকার নুরুল আনোয়ার বেলাল, ফারুক শেঠ, শেখ মো. শান্ত, হানিফ হোসেন বাবু উপস্থিত ছিলেন।