ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে যাওয়া নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র ব্রেক্সিট চুক্তি দেশটির পার্লামেন্টে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।
দেশটির পার্লামেন্টে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে চুক্তির পক্ষে ভোট পড়েছে ২০২টি এবং চুক্তির বিপেক্ষ ভোট পড়ে ৪৩২টি।
টেরেসার রক্ষণশীল দলের অনেক এমপি, লেবার পার্টি, ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টিসহ অন্যান্য বিরোধী দলের অনেক এমপি চুক্তির বিপক্ষে ভোট দেন।
ভোটাভুটির পর বিরোধী লেবার দলের নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, এই পরাজয় সরকারের জন্য বড় বিপর্যয়কর।
এদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র ব্রেক্সিট চুক্তি পুনর্বিবেচনা করার আর কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা।
গত ১৩ ডিসেম্বর ব্রাসেলসে অনুষ্ঠেয় সম্মেলনে থেরেসা মে ইইউকে ব্রেক্সিট চুক্তি পুনর্বিবেচনা করার আপিল করলে এ কথা জানান তারা।
এর আগে ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়ে যুক্তরাজ্যের খসড়া চুক্তির প্রতিবাদ করে ব্রেক্সিটমন্ত্রী ডোমিনিক রাব এবং কর্মসংস্থান ও পেনসনমন্ত্রী এস্টার ম্যাকভেসহ মোট চারজন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের অপসারণ, যা সংক্ষেপে ব্রেক্সিট নামে পরিচিত। ব্রিটেন ১৯৭৩ সালে ইউরোপিয়ান ইকোনমিক কমিউনিটির সঙ্গে সংযুক্ত হয়। এর লক্ষ্য ছিল সুলভমূল্যে ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য ও অভিন্ন বাজারসুবিধা।
১৯৯৩ সালে ইইউ নিজস্ব মুদ্রা, নীতিমালা, নাগরিকদের জন্য সীমানামুক্ত বিচরণসহ যুক্ত করাসহ অনেকগুলো পরিবর্তন আনে। কিন্তু অনেক ব্রিটিশ নাগরিক ব্রিটেনের ইইউর বিধি-নিষেধ মেনে চলা নিয়ে বেশ নাখোশ।
যে কারণে ইইউ থেকে ব্রিটিশ জনগণের থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বা ব্রেক্সিট নিয়ে ২০১৬ সালের ২৩ জুন এক গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৯ সালের ২৯ মার্চের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে যুক্তরাজ্যের।