সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের শারীরিক অবস্থা খুবই নাজুক হয়ে পড়ায় চিকিৎসার জন্য আজ রোববার দুপুরে তাকে ফের সিঙ্গাপুর নেয়া হবে।
পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আজম খান এরশাদের সিঙ্গাপুরে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ২০ তারিখ দুপুরে চিকিৎসার জন্য দলীয় প্রধান এরশাদ সিঙ্গাপুরে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর ‘উন্নত চিকিৎসার জন্য’ সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন এরশাদ। জয়ী হওয়ার পর দেশে ফিরে শপথও নেন। কিন্তু এরপর থেকেই তিনি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন।
দলীয় সূত্র জানায়, এরশাদের শারীরিক অবস্থা খুবই নাজুক। চারদিন পরপর তাকে রক্ত দিতে হচ্ছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার শরীরে রক্ত উৎপাদন কমে গেছে। যদি তার শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয় তবে রোববার তাকে সিঙ্গাপুরে নেয়া হবে।
এদিকে এরশাদের অবর্তমানে এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিদেশে থাকাকালীন সময়ে পার্টির বর্তমান কো-চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
পার্টির গঠনতন্ত্রের ২০/১/ক ধারা মোতাবেক চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ গত ১৬ জানুয়ারি (বুধবার) এ নিয়োগ প্রদান করেন, যা ইতোমধ্যেই কার্যকর হয়েছে।
এর আগে গত ১ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) এরশাদের অনুপস্থিতিতে জি এম কাদেরকে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন মর্মে নির্দেশ জারি করা হয়।
সেখানে বলা হয়, আমি (এরশাদ) জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসেবে পার্টির সর্বস্তরের নেতাকর্মী-সমর্থকদের জ্ঞাতার্থে জানিয়ে রাখছি যে, আমার অবর্তমানে পার্টির বর্তমান কো-চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের) জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন।
এবার নতুন করে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এরশাদ বিদেশে থাকাকালীন সময়ে পার্টির বর্তমান কো-চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন মর্মে আবারও নির্দেশনা জারি করা হলো।
উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদে এরশাদকে বিরোধী দলীয় নেতা করে সম্প্রতি প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়। একই সঙ্গে প্রজ্ঞাপনে জিএম কাদেরকে সংসদীয় বিরোধী দলের উপনেতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়।