সৌদি আরব নতুন করে আরও ২৫০ জন রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। জানা যায়, চলতি বছরের প্রথম মাসেই এ নিয়ে দ্বিতীয়বার বন্দিশালায় থাকা রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাচ্ছে দেশটি। মানবাধিকার সংস্থার বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন ফ্রি রোহিঙ্গা কোয়ালিশনের প্রচারণা সমন্বয়কারী নে সন লুইনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সৌদি আরবে আনুমানিক তিন লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। তিনি জোরপূর্বক এই প্রত্যর্পণ ঠেকাতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। নে সন লুইন আলজাজিরাকে বলেন, এই রোহিঙ্গাদের অধিকাংশেরই সৌদিতে বসবাসের অনুমতি আছে।
রোববার দিনের শেষভাগে অথবা সোমবার সকালে তাদেরকে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি। তিনি আরও জানান, সৌদিতে থাকা অনেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত ও নেপালের ভুয়া পাসপোর্ট দেখিয়ে দেশটিতে প্রবেশ করেন। উল্লেখ্য, ১৯৮২ সালে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিলে তারা রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়ে।
তারা বৈধভাবে দেশটিতে বসবাস করতে পারেন। কিন্তু জেদ্দার সুমায়সি বন্দিশালায় আটক এইসব রোহিঙ্গাদের সঙ্গে খুব ভয়াবহ নির্যাতন চালানো হচ্ছে। তাদেরকে সৌদিতে অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। নে সন লুইনের হাতে আসা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সৌদিতে বসবাসকারী বেশিরভাগ রোহিঙ্গা অনেক আগেই দেশটিতে গেছেন। তাদের আগামী রোববার জেদ্দা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে। সেখান থেকে বিমানে করে তাদের ঢাকায় পাঠানো হবে।