ভেদরগঞ্জে শিশুর ধর্ষক সখিপুরে গ্রেফতার

সারাদেশ ডেস্ক

ফাইল ছবি

সখিপুর থানা পুলিশ শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে ইটভাটা শ্রমিকের ১০ বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও আট বছরের আরেক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে ।

গ্রেপ্তার ওই যুবকের নাম কাদির ভূঁইয়া। তাকে শরীয়তপুর কোর্টে পাঠানো হয়েছে।

universel cardiac hospital

পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে তার অপকর্মের কথা স্বীকার করেছে। দুই শিশুকেই চকলেট ও বিস্কুটের লোভ দেখিয়ে এ ঘটনা ঘটায়।

সখিপুর থানা ও শিশুদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার নরসিংহপুর ফেরী ঘাট এলাকার মেঘলা ব্রিকস নামে একটি ইটভাটায় দীর্ঘ ৪ বছর ধরে কাজ করে আসছে ওই দুই শিশুর পরিবার। দুটি শিশুর পরিবারই কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানার বাসিন্দা।

ধর্ষণের শিকার দুই শিশু মাঝে মধ্যেই নরসিংহপুর ফেরিঘাটের চায়ের দোকানদার ও একই গ্রামের ছবুউল্লাহ ভূইয়ার ছেলে কাদির ভূইয়ার (২৩) দোকানে চকলেট ও বিস্কুট কিনতে যেত।

গত সোমবার বিকেলে ওই শিশুকে চকলেট ও টাকার লোভ দেখিয়ে তার দোকানের পাশের একটি পরিত্যক্ত রুমে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় তার চিৎকার শুনে অপর শ্রমিক শাহাবুদ্দিন মিয়ার ৮ বছরের শিশু কন্যা এগিয়ে গেলে তাকেও ধর্ষণের চেষ্টা করে কাদির।

এ বিষয়টি কাউকে জানালে তাদের দুজনকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় বলে জানিয়েছে তাদের পরিবার। এ ভয়ে শিশু দুটি পরিবারের কাছে কিছু বলেনি।

এরপর মঙ্গলবার আবারও শিশুটিকে ধর্ষণ করে কাদির। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই শিশুকে আবারো ধর্ষণের চেষ্টা চালায় কাদির। তখন শিশু দুটি তাদের পরিবারের কাছে ঘটনা খুলে বলে।

খবরটি শুক্রবার পুরো এলাকায় জানাজানি হলে সখিপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দুই পরিবারকে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় কাদির ভুইয়াকে আসামি করে ধর্ষণের শিকার শিশুর বাবা বাদী হয়ে আজ শনিবার সকালে সখিপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ এর ১ ও ৯/৪ এর খ ধারায় একটি মামলা দায়ের করে।

এ ঘটনায় শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সখিপুর থানা পুলিশ ধর্ষক কাদির ভুইয়াকে নরসিংহপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।

পুলিশ জানায়, কাদির তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। এরপর ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণের জন্য তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে সখিপুর থানা পুলিশ।

এ বিষয়ে সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এনামুল হক বলেন, ঘটনাটি জানতে পেরে শুক্রবার বিকেলে আমি দুই শিশু ও তার পরিবারের লোকজনকে থানায় ডেকে আনি।

এক শিশুর বাবা বাদী হয়ে শনিবার সকালে কাদির ভূঁইয়াকে আসামি মামলা দায়ের করেছে।

কাদির ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। সে ধর্ষণ ও ধর্ষণের চেষ্টার কথা স্বীকার করেছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে