অনেক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছে বাজারে এসেছে প্লাস্টিকের ডিম। আর গতকাল সোমবার গাইবান্ধার একটি দোকান থেকে ১৫ কেজি চাল জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
পরীক্ষার জন্য জব্দ চাল ঢাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
অবশ্য গাইবান্ধা শহরের নতুন বাজার থেকে জব্দ করা চালের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল মতিন। আজ মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বলেন, প্লাস্টিক সন্দেহে জব্দ করা চাল প্রাথমিক পরীক্ষা করা হয়েছে। চাল ভিজিয়ে রান্না করে প্রতীয়মান হয় যে, চালের ভাত স্বাভাবিক চালের মতই। জব্দ করা চাল প্লাস্টিকের চাল নয়। এ চাল নিম্নমানের কিংবা ভেজাল হতে পারে।
বর্তমানে বাজারে প্লাস্টিকের চাল,ভেজাল ডিম বা বিষাক্ত খাবার বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ সাধারণ মানুষের। বাজারে হঠাৎ করে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় ওই প্লাস্টিকের চাল বিক্রি হচ্ছেও বলে অনেকের ধারণা।
পুষ্টিবিদ মাহফুজা নাসরীন মতে, প্লাস্টিক চাল দীর্ঘদিন ধরে খেলে ক্যানসার, হজমের রোগ, মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়াসহ একাধিক রোগ দেখা দিতে পারে।
তবে সুস্থ থাকতে হলে প্লাস্টিকের চাল চেনা জরুরি।
আসুন জেনে নেই কীভাবে চিনবেন প্লাস্টিকের চাল।
প্লাস্টিক চাল চেনার উপায়
বাসমতি চালের মতো : বিষাক্ত প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি করা হয় এই চাল। দেখতে একেবারে সাধারণ চালের মতো হয়। আর রান্না করার পর অনেকটা বাসমতি রাইসের মতো দেখতে লাগে।
রান্না করার সময় অনেকক্ষণ পর্যন্ত শক্ত থাকে : প্লাস্টিক চাল রান্না করার সময় অনেকক্ষণ পর্যন্ত শক্ত থাকে, যা সাধারণ চালের ক্ষেত্রে লক্ষ করা যায় না।
পানিতে নাড়ুন : এক গ্লাস পানি নিয়ে তাতে অল্প করে চাল মিশিয়ে ভালো করে নাড়ুন। যদি দেখেন চালটা পানির উপরে ভাসছে, তাহলে বুঝবেন এটা প্লাস্টিক চাল।
আগুন লাগিয়ে দিন : অল্প করে চাল নিয়ে তাতে আগুন লাগিয়ে দিন। যদি দেখেন আগুন লাগানোর পর প্লাস্টিকের গন্ধ বের হচ্ছে, তাহলে ভুলেও ওই চাল খাবেন না। এছাড়া আগুন দেয়ার পর যদি দেখেন চাল গলে গেছে তাহলে সেটা বিষাক্ত প্লাস্টিক চাল।