সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র ইমন হত্যা মামলায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রেজাউল করিম এ রায় ঘোষণা করেন।
একই আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট কিশোর কুমার কর বলেন, মৃত্যুদণ্ডের সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন আদালত। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট এ কে এম শিবলী ও এ কে এম শামিউল আলম। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন, শহীদুজ্জামান চৌধুরী।
৪ আসামির মধ্যে বাতিরকান্দি গ্রামের সালেহ আহমদ ছাড়া একই গ্রামের রফিক, জায়েদ ও উপজেলর ব্রাহ্মণ জুলিয়া গ্রামের সুজন বর্তমানে কারাগারে আছেন।
প্রসঙ্গত, সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের বাতিরকান্দি গ্রামের সৌদি প্রবাসী জহুর আলীর ছেলে ও লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট কারখানার কমিউনিটি বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির ছাত্র মোস্তাফিজুর রহমান ইমনকে ২০১৫ সালের ২৭ মার্চ অপহরণ করা হয়। পরে মুক্তিপণের টাকা পাওয়ার পরও অপহরণকারীরা শিশু ইমনকে হত্যা করে।
গত বছর ৮ এপ্রিল মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে সিলেটের কদমতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে শিশু ইমনের হত্যাকারী ঘাতক ইমাম সুয়েবুর রহমান সুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি, বিষের বোতল ও রক্তমাখা কাপড় উদ্ধার করে। এমনকি বাতিরকান্দি হাওর থেকে ইমনের মাথার খুলি ও হাতের হাড় উদ্ধার করে পুলিশ। একজন ছাড়া গ্রেফতার করা হয় জড়িত তিনজনকে। বর্তমানে তারা কারাগারে আছেন।