বিএনপি পুনর্গঠন করা জরুরি : মওদুদ

ডেস্ক রিপোর্ট

মওদুদ আহমদ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ। ফাইল ছবি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিএনপি পুনর্গঠন করা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন।

আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটশনে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

universel cardiac hospital

দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে দেশব্যাপী এই প্রতিবাদ সভা করে বিএনপি।

ঢাকার সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সভাপতিত্ব করেন নজরুল ইসলাম খান।

অনুষ্ঠানে মওদুদ আহমদ বলেন, খুব দ্রুত বিএনপিকে পুনর্গঠন ও পুনর্বাসন করতে হবে। তাহলেই কেবল আন্দোলনের মাধ্যমে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনা সম্ভব হবে।

এ সময় তিনি দল পুনর্গঠনের ফর্মুলাও বাতলে দেন, তৃণমূল থেকে পুনর্গঠন কতে হবে। যেসব নেতাকর্মী খালেদা জিয়ার জন্য সংগ্রাম করেছেন, তাদের দলের উপরের সারিতে পদ দিতে হবে।

বিএনপির সাবেক এই মন্ত্রীর অভিযোগ, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন মামলায় সরকারের কূটকৌশলে খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। রেওয়াজ অনুযায়ী, এ ধরনের মামলায় আপিলের ফাইল সাবমিট করলেই তা মঞ্জুর হওয়ার কথা। আমরাও ভেবেছিলাম, এক সপ্তাহেই জামিনে তিনি মুক্ত হয়ে যাবেন। কিন্তু, শুনানির সময় পিছিয়ে জামিন না দিতে তার বিরুদ্ধে আরও দুটি মানহানি মামলা দিয়েছে সরকার।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আইনি প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়ার মুক্তি আর হবে না। আমাদের সামনে আন্দোলনের বিকল্প নেই। সুতরাং সবাই আন্দোলনের প্রস্তুতি নিন।

ভোটের আগে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সংলাপ ইঙ্গিত করে মওদুদ বলেন, সংলাপে আমাদের একটি দাবিও মানা হয়নি। তারপরও আমরা কেন নির্বাচনে গিয়েছিলাম? কারণ, আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৭৮ হাজার মামলা দেয়া হয়েছে। তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। অন্তত ভোটের মাধ্যমে হলেও তারা সবাই রাজনীতিতে আসতে পারবেন।

তিনি বলেন, দুটি কারণে আমরা নির্বাচনে গিয়েছিলাম। এক, আশা ছিল, মানুষ ভোট দিতে পারলে আমরা বিজয়ী হব। দুই, বিজয়ী হলে সেদিন আমাদের নেত্রীকে মুক্তি দিতে বাধ্য হবে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে গিয়েছিলাম। কিন্তু, কিছুই করতে পারিনি। আন্দোলন করতে হলে সংগঠন লাগে। বিগত ১০ বছর অনেক কর্মসূচি দেয়া হয়েছে। কিন্তু, কি দেখলাম? মনে হয় কিছুই করা হয়নি।

তিনি বিগত নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছিলেন, তাদের বিভিন্ন মামলায় ক্ষতিগ্রস্ত দলের নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

প্রতিবাদ সভায় স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, এক বছর হলো রাজনৈতিক মামলায় খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। তাকে আইনি প্রক্রিয়ায় মুক্ত করা যাবে বলে মনে হয় না। আমরা আমাদের নেত্রীকে রাজনৈতিকভাবেই মুক্ত করে আনব।

তিনি বলেন, কারাগারে থেকে আজ গণতন্ত্রের জন্য তিনি (খালেদা জিয়া) মূল্য দিচ্ছেন। তাই আমাদের রাজপথে আন্দোলন করে দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য দেন, দলের ভাইস-চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমদ আজম খান, আব্দুল মান্নান, শামসুজ্জামান দুদু, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ।

বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে