শিশুদের ছাড়া মেলা যেন জমেই না। দৌড়ঝাঁপ আর দুরন্তপনায় শিশুরাই মেলা প্রাণবন্ত করে রাখে। একুশে বইমেলাও তার ব্যতিক্রম নয়।
শিশুদের জন্য বইমেলায় রয়েছে আলাদা চত্ত্বর। রয়েছে ছুটির দিনে বিশেষ প্রহর। এ প্রহরে মেলা পুরোদস্তুর শিশুময়।
আজ শুক্রবার দ্বিতীয় ছুটির দিনে শিশুদের আনাগোনায় জমে উঠেছিল বইমেলা। বিশেষ করে সিসিমপুরসহ শিশুদের স্টলগুলিতে ভিড় ছিল উপচেপড়া। তাদের সঙ্গে অভিভাবক আর সাধারণ ক্রেতা দর্শনার্থীদের পদচারণায় অষ্টম দিনের মেলা ছিল জমজমাট।
মেলার দিন যতো যাচ্ছে বাড়ছে ভিড়। আসছে নতুন নতুন বই। সন্ধ্যায় প্রতিদিন হচ্ছে বাংলা একাডেমির সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাড়ছে বেচা-বিক্রি। আড্ডায় মেতে উঠছেন কবি-লেখক-সাহিত্যিকরা। পাঠকদের সঙ্গে ভাব বিনিময়ের পাশাপাশি নিজেদের সাহিত্যকর্ম নিয়েও তারা কথা বলছেন আগ্রহী ক্রেতা-পাঠকের সঙ্গে।
এদিকে বড়দের পাশাপাশি শিশু কিশোরদের জন্যও বইমেলায় রয়েছে নানা আয়োজন। মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অংশে আলাদা নজর করেছে বটতলায় শিশু চত্বর।
এখানে বিটিভির শিশুদের প্রিয় অনুষ্ঠান সিসিমপুরের চরিত্রগুলোর উপস্থিতি শিশু-কিশোরদের বাড়তি আনন্দ যুগিয়েছে।
টিভিতে দেখা সিসিমপুরের চরিত্রগুলো এখানে সরাসরি দেখার সুযোগ পাচ্ছে শিশুরা। বাবা-মায়ের হাত ধরে ঘুরতে আসা শিশুদের মূল আকষর্ন শিশু চত্বরে এই স্টলটি। শিশুরা হইহুল্লোড় আর খেলাধুলায় মেতেছিল। কেউ ছবি মনোযোগ দিয়ে ছবি এঁকেছে। আবার কেউবা নিজেদের মধ্যে খুনসুঁটিতে মেতে উঠছে।
সিসিমপুর স্টলের সমন্বায়ক শোভন মত ও পথ জানান, বইমেলা উপলক্ষে প্রতি শুক্র-শনিবার শিশু প্রহরে সিসিমপুর অনুষ্ঠানের চরিত্র হালুম, টুকটুকি, ইকরি মেলায় আসবে। এ সময় শিশুরা সরাসরি দেখার পাশাপাশি চরিত্র গুলোর সাথে ছবি তোলার সুযোগ পাবে মেলায় আগত শিশু কিশোররা।
এছাড়াও শিশু চত্বরে দেশের নাম করা বিভিন্ন প্রকাশনি থেকে প্রকাশিত শিশুদের জন্য কবিতা, গল্প, ছড়া এবং দেশ বিদেশের আকর্ষণীয় চরিত্রের শিশুতোষ বই।
সিসিমপুরের স্টলে কথা হলো ৫ বছরের আয়েশা মালিহার সঙ্গে। সদ্য শেখা আদো আদো বোলে সে বলে, হালুম আঁকছি। ভালো লাকছে। অনেক মজা।
মাসব্যাপী বইমেলার প্রতি শুক্রবার ও শনিবার চলবে শিশুপ্রহর। সকাল ১১ টায় শুরু হয়ে শিশুপ্রহর চলবে দুপুর একটা পর্যন্ত।