বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ষষ্ঠ আসরের ফাইনালে আজ শুক্রবার মুখোমুখি হয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও ঢাকা ডায়নামাইটস।
শিরোপা যুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৯৯ রান সংগ্রহ করেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। কুমিল্লার বিশাল সংগ্রহের দিনে সেঞ্চুরি করেছেন তামিম ইকবাল। ষষ্ঠ আসরের সর্বোচ্চ ১৪১ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচে টস জিতে কুমিল্লাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান ঢাকার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে এভিন লুইসকে হারালেও এনামুলকে নিয়ে দুর্দান্ত খেলতে থাকেন তামিম ইকবাল। মাত্র ৩১ বলে তুলে নেন ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি। ১২তম ওভারে এনামুল হক বিজয়কে ফিরিয়ে ৮৯ রানের এই জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান। যাওয়ার আগে দুই বাউন্ডারিতে ৩০ বলে ২৪ রান করেন এনামুল। পরের ওভারে ব্যক্তিগত শূন্য রানে আউট হন শামসুর রহমান।
দ্রুত দুই উইকেট হারালেও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন তামিম। ঢাকার বোলারদের পিটিয়ে মাত্র ৫০ বলেই বিপিএলের ইতিহাসে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন এই ড্যাশিং ওপেনার। এই পর্যন্ত বিপিএলের মোট ছয় আসরে ১৮টি সেঞ্চুরি হলেও এতদিন সেঞ্চুরির দেখা পাননি তামিম।
এদিন ৩১ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা তামিম পরের ৫০ করেন মাত্র ১৯ বলে। মোট ৫০ বলে সেঞ্চুরি করতে ৮টি ৪ এবং ৭টি ৬ হাঁকান এই ওপেনার। ইনিংস শেষে ১৪১ রানে অপরাজিত থাকেন তামিম। ৬১ বলে তার ইনিংসটি সাজানো ১১টি ছক্কা এবং ১০টি বাউন্ডারি দিয়ে।
তামিমের সঙ্গে ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন ইমরুল কায়েস। তামিমের ব্যাটে চড়ে ঢাকার সামনে ২০০ রানের বিশাল টার্গেট রাখে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে ৪ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন সাকিব আল হাসান। ৪৮ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন রুবেল হোসেন।
বিপিএলের এই নিয়ে ৬ আসরের ৫টিতেই ফাইনালে উঠেছে ঢাকা। চারবারের তিনবার শিরোপা জিতেছে দলটি। ২০১৭ সালে শেষবার রংপুর রাইডার্সের কাছে শিরোপা হারায় ঢাকা ডায়নামাইটস।
এবার চতুর্থবারের মতো শিরোপার সামনে দাঁড়িয়ে সাকিব আল হাসানের দল।
কুমিল্লার দেয়া ২০০ রানের বিশাল বাঁধা টপকাতে পারলেই নিজেদের চতুর্থ শিরোপা ঘরে তুলবে ঢাকা।
অন্যদিকে, আসরের শক্তিশালী দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সও। ২০১৫ সালে টুর্নামেন্টে নাম লিখিয়েই শিরোপা জিতেছিল তারা। পরের বার ভালো না করলেও শেষ আসরে দুর্দান্ত ছিল দলটি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ইনিংস: ১৯৯/৩ (২০ ওভার)
(তামিম ইকবাল ১৪১*, এভিন লুইস ৬, এনামুল হক ২৪, শামসুর রহমান ০, ইমরুল কায়েস ১৭*: রাসেল ০/৩৭, রুবেল ১/৪৮, সাকিব ১/৪৫, নারিন ০/১৮, অনিক ০/১৯, শুভাগত ০/১৪, মাহমুদুল ০/১২)।