পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী থানা হবে মানুষের সেবার কেন্দ্র- মন্তব্য করে বলেছেন, একজন মানুষ নিরুপায় হয়েই থানায় যায়। হয়তো তার সব সমস্যার সমাধান নাও দিতে পারেন, কিন্তু তার কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনুন, কী করতে হবে বুঝিয়ে বলুন, তার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করুন। থানায় এসে হাসিমুখে মানুষ যেন কাঙ্ক্ষিত সেবা পায়, এই প্রয়াস যেন অব্যাহত থাকে।
বুধবার বেলা ৩টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইজিপি এসব কথা বলেন।
ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, থানায় এসে মানুষ যদি ভালো ব্যবহার পায়, পুলিশের প্রতি মানুষ সন্তুষ্ট থাকবে। এতে পুলিশের ওপর মানুষের বিশ্বাস ও আস্থায় জায়গা আরও বাড়বে।
তিনি বলেন, ডিএমপি (ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ) হচ্ছে পুলিশের আয়না। একটি আয়নায় যেমন মানুষের প্রতিচ্ছবি দেখা যায়, তেমন পুলিশ কী, সেটা ডিএমপিকে দেখলেই বোঝা যায়। ডিএমপির অসংখ্য সফলতা আমি দেখেছি। অনেক সাহসী অভিযান চালিয়েছে, ভালো অনেক পদক্ষপও নিয়েছে। ডিএমপির অনেক ভালো ভালো কাজের জন্য পুলিশকে আজ মানুষ আপন করে নিয়েছে। বিপিএল, বাণিজ্যমেলা, বইমেলাসহ অসংখ্য ইভেন্টের নিরাপত্তা দিয়ে চলেছে।
মানুষকে সেবা দেওয়া পুলিশের একার পক্ষে সম্ভব হয় মন্তব্য করে আইজিপি বলেন, পুলিশের পাশাপাশি জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে। অপরাধীদের বিষয়ে জনগণ যদি পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করে, তবে সেবার মান আরও উন্নত হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আমরা জনবান্ধব পুলিশ গঠন করতে পেরেছি। যার ফলে ঢাকায় অপরাধের মাত্রা এখন অনেক কম। জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার মাধ্যমে নগরবাসীকে নিরাপদে রেখেছি। নারীবান্ধব ও শিশুবান্ধব পুলিশ গঠন করা হয়েছে। সুন্দর ব্যবহার করার মাধ্যমে আমরা মানুষের মন জয় করবো, এটাই হোক ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অঙ্গীকার।
শুভেচ্ছা বক্তব্য শেষে বেলুন উড়িয়ে ডিএমপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যালির উদ্বোধন করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
এরপর ডিএমপি’র গোয়েন্দা পুলিশ, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট (সোয়াত), সাইবার ক্রাইম ইউনিট, কে-নাইন ইউনিট (ডগ স্কোয়াড), কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটসহ ডিএমপির সব ইউনিট বর্ণাঢ্য এই র্যালিতে অংশ নেয়। র্যালিটি ডিএমপি সদর দফতর থেকে বের হয়ে বেইলি রোড দিয়ে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে গিয়ে শেষ হয়।