হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যারা ২০১৯ সালে হজে যেতে চান তাদের জন্য প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। প্রত্যেক হাজির জন্য ন্যূনতম তিন লাখ ৪৫ হাজার ৮০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ খরচ কোরবানি বাদে ধরা হয়েছে।
আগামীকাল রবিবার থেকে হজের নিবন্ধন শুরু হচ্ছে। চলবে ১০ মার্চ পর্যন্ত।
আজ শনিবার রাজধানীর নয়া পল্টনের একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে প্যাকেজ ঘোষণা করে হাব। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হাব মহাসচিব এম শাহাদাত হোসেন তসলিম। এ সময় হাব সভাপতি আব্দুস ছোবহান ভূঁইয়া ও অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এবার সরকারি-বেসরকারিভাবে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ ব্যক্তি হজ করতে সৌদি আরব যাবেন। এর মধ্যে বেসরকারিভাবে যাবেন এক লাখ ২০ হাজার, বাকি সাত হাজার ১৯৮ জন যাবেন সরকারিভাবে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগস্টের ১০ তারিখে হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে।
এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি সরকারি দুটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। প্যাকেজ-১ এ তিন লাখ ৯৭ হাজার ৯২৯ এবং প্যাকেজ-২ এ তিন লাখ ৩১ হাজার ৩৫৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে হাব মহাসচিব জানান, কোনো এজেন্সি তাদের ঘোষিত প্যাকেজের কমে কাউকে নিতে পারবে না। তবে এজেন্সিগুলো সুযোগ-সুবিধার ভিত্তিতে উচ্চমূল্যে হজ প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারবে। প্রাক-নিবন্ধনকারীদের মধ্যে ঘোষিত সিরিয়াল অনুসারে আওতাধীন নিবন্ধিতরা প্রাক-নিবন্ধনের ৩০ হাজার টাকা বাদে প্যাকেজ অনুযায়ী নির্ধারিত টাকা থেকে এক লাখ ৪২ হাজার টাকা দিয়ে চূড়ান্ত নিবন্ধন করবেন। বাকি টাকা দ্রুত পরিশোধ করবেন।
হাব জানায়, হজের বিমান ভাড়া এক লাখ ২৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করে ঘোষিত প্যাকেজে মক্কা ও মদিনায় বাড়ি ভাড়া এক লাখ ছয় হাজার ৫০০ টাকা ধরা হয়েছে।
এ ছাড়া সৌদি আরবে প্রদেয় বিভিন্ন সার্ভিস চার্জ ও পরিবহন ভাড়া ৪০ হাজার ৮৮২ টাকা ৫০ পয়সা, জমজমের পানি ২৬০ টাকা, অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ ও ভ্যাট ৩৫ হাজার ৪৩৭ টাকা ৫০ পয়সা, স্থানীয় সার্ভিস চার্জ ৮০০ টাকা, হজযাত্রীদের কল্যাণ তহবিল ২০০ টাকা, প্রশিক্ষণ ফি ৩০০ টাকা, চিকিৎসা কেন্দ্র ফি ১০০ টাকা, অন্য খরচ এক হাজার ২১৫ টাকা ও প্রাক-নিবন্ধন ফি দুই হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে খাওয়া খরচ ৩০ হাজার ধার্য্য করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে হজের লেনদেনে এজেন্সি বাদে অন্যদের সঙ্গে না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।