তখন সময় বিকেল সাড়ে ৩টা। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনের রাস্তার ধবধবে সাদা দেয়ালে কালো রঙয়ের তুলির আঁচড়ে ছবি আঁকছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের একজন শিক্ষক। তার সামনে দাঁড়িয়ে ইনস্টিটিউটের কয়েকজন শিক্ষার্থী।
তাদের শিক্ষক প্রথমে একজন আন্দোলনকারী যুবকের ও পরবর্তী সময়ে ওই যুবকের কোলে গুলিবিদ্ধ আরেক যুবকের ছবি আঁকলেন। একটু খেয়াল করতে সহজেই বোঝা গেল এ ছবিটি ৫২’র ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী কোনো এক যুবকের কোলে নিহত কোনো যুবকের ছবি।
আর মাত্র ৪ দিন পরেই মহান ২১ ফেব্রুয়ারি, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ওই দিনটিতে ভাষা আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ইতোমধ্যেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারকে প্রস্তুত করতে আয়োজন শুরু হয়ে গেছে।
রোববার সকাল ও বিকেলে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের চৌহদ্দিতে ঝাড়ু দেয়া ও পানি দিয়ে ধোঁয়া-মোছার কাজ চলছে।
সকালে মূষলধারে বৃষ্টির কারণে শহীদ মিনারের বেদির বিভিন্ন স্থানে পানি জমে যায়। কয়েকজন শ্রমিককে পানি দিয়ে তা পরিষ্কার ও ঝাড়ু হাতে ঝাড় দিতে দেখা যায়।
শহীদ মিনারের চারদিক বাঁশ দিয়ে ঘেরাও করা হচ্ছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সদস্যদের কয়েকজনকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিসিটিভি স্থাপনের কাজ করতে দেখা যায়। হাতে সময় কম তাই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় শহীদ মিনারের বেদিতে প্রবেশও সীমিত করা হয়েছে।
শহীদ মিনারের সামনে রাস্তার বিপরীত দিকে উত্তর পার্শ্বের দেয়াল নতুন করে রঙ ও লিখনের কাজও শুরু হয়েছে। এদিন দেয়ালে কোথাও হলুদ, কোথাও টিয়া আবার কোথাও আকাশি রঙ দিতে দেখা যায়।
চারুকলার একজন শিক্ষার্থী বললেন, আপাতত দেয়ালগুলোতে নতুন করে রঙ করার কাজে গুরত্ব দেয়া হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার থেকে লিখনের কাজ শুরু হবে।