ঢাকায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বা অমর একুশে পালনের কথা সারা বিশ্ব জানে। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না, পাকিস্তানেও বাংলা পড়ানো হয়। কারণ অনেকেই ভেবে নেন, পাকিস্তানি শাসকদের তৎপরতা আর গুলিতেই তো একুশে ফেব্রুয়ারির সৃষ্টি।
তবে পাকিস্তানে বাংলা শুধু পড়ানোই হয় না,আজ ২১ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা হলো ভাষা আন্দোলন নিয়েও।
বিশ্ববিদ্যালয়টির বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মহম্মদ আবু তৈয়ব খান এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, তাদের পাঠক্রমে বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্র আছেন। এমনকি বুদ্ধদেব বসুও রয়েছেন।
আবু তৈয়ব বলেন, ‘যেকোন ভাষা শিখতে সময় লাগে। সে বাংলা হোক কিংবা উর্দু। কিন্তু এখন সকলেই দ্রুত কাজ পেতে চায়। তাই সাহিত্য পড়ার আগ্রহ কমছে। তবে তার মধ্যেও এখানে যাঁরা বাংলা পড়ছেন, তাঁদের আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই।’
১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের পরে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে অনেক বাংলাভাষী বাংলাদেশে চলে আসে। বড় এটি অংশ সেখানে থেকে যায়। পাকিস্তানের বাংলাভাষী জনসংখ্যার বেশিরভাগই বাস করেন করাচিতে।
পাকিস্তানি বাঙালি বিষয়ক কমিটির তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানে বাংলাভাষীদের দুই শতাধিক পরিবার আছে। এর মধ্যে ১৩২টি করাচিতে। করাচির সেই সব মহল্লায় দেখা যায় বাংলা সাইনবোর্ডও।
১৯৫১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় করাচি বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৫৩ সাল থেকেই সেখানে শুরু হয় বাংলা বিভাগের পথ চলা।
আবু তৈয়ব জানান, বর্তমানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মিলিয়ে বাংলা বিভাগে পড়ছে ৩০ জন। শিক্ষক আছেন তিনজন। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ছাড়াও শুধু বাংলা লিখতে ও বলতে পারার জন্য সার্টিফিকেট কোর্সও রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে শিক্ষকদের যাতায়াত রয়েছে তাদের বিভাগে।