জাতীয় সংসদে আজ সোমবার সরকারি দলের মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু জানিয়েছেন, মিঠা পানির ২৬০ প্রজাতির মাছের মধ্যে বিলুপ্তপ্রায় ৬৪ প্রজাতির মাছ। মিঠা পানির এসব মাছকে রক্ষার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, বিলুপ্তপ্রায় মাছ সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট গবেষণার মাধ্যমে ইতোমধ্যে ১৮ প্রজাতির মাছ যথা-বাটা, সরপুটি, ভাঙ্গনা, কালিবাউশ, গনিয়া, মহাশোল, পাবদা, গুলশা, শিং মাগুর, ভেদা, গুজি, আইড়, চিতল, ফলি, কুচিয়া, ট্যাংরা ও গুতুমের প্রজনন ও চাষ বিষয়ক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে।
এছাড়া শাল-বাইম, বৈরালী ও গজার মাছের প্রজনন ও চাষ কৌশল উদ্ভাবনের লক্ষ্যে গবেষণা হচ্ছে। এসব গবেষণার উদ্দেশ্য হচ্ছে সকল দেশীয় প্রজাতির মাছ পুনরুদ্ধার করে খাবার টেবিলে ফিরিয়ে আনা।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জানান, মিঠা পানির মাছকে রক্ষার জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতায় মৎস্য অধিদফতর কৌশলপত্র প্রণয়ন করেছে।
আশরাফ আলী খান খসরু আরও জানান, মুক্ত জলাশয়ে বিগত পাঁচ বছরে ৫৩৪টি স্থায়ী ও অস্থায়ী অভয়াশ্রম করা হয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৫০০ টন পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়েছে।