ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে বিদ্রোহীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সমঝোতা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ছাত্রলীগের সঙ্গে সমঝোতা হওয়ায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছে বিদ্রোহী প্রার্থীরা।
সমঝোতার পর দুপুরে মধুর ক্যানটিনের সামনে ‘বিদ্রোহী’ প্যানেলের সদস্যদের সঙ্গে সেলফি তোলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন।
এ সময় তাকে ‘বিদ্রোহী’ প্যানেলের নেতা আমিনুল ইসলাম ও আল মামুনের সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল বাক্যবিনিময় করতে দেখা যায়।
‘বিদ্রোহী’ প্যানেলের জিএস প্রার্থী আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা সবাই শেখ হাসিনার রাজনীতি করি। তাই ডাকসু নির্বাচনে সবাই একসঙ্গে কাজ করতে চাই। আমাদের মধ্যে কোনো বিভাজন নেই৷
তিনি বলেন, কাঙ্ক্ষিত মূল্যায়ন না পাওয়ায় আমাদের মধ্যে একটু অভিমান হয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর আমরা সন্তুষ্ট। পার্টিতে কাজ করলে আমাদের যথাযথ মূল্যায়ন করার আশ্বাস দিয়েছেন তারা।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, ছাত্রলীগে কোনো বিদ্রোহী গ্রুপ নেই। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী অনেক, কিন্তু ডাকসুতে পদসংখ্যা অল্প। এর ফলে সবাইকে মনোনয়ন দেয়া হয়তো সম্ভব হয়নি। এটা নিয়েই একটু মনোমালিন্য হয়েছিল। এখন কোনো সমস্যা নেই৷
এর আগে ডাকসু নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় সোমবার মধুর ক্যানটিনে সংবাদ সম্মেলন করে স্বতন্ত্র প্যানেল ঘোষণা করে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের একটি অংশ।
এই প্যানেলে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সোহান খানকে ভিপি (সহসভাপতি) ও আমিনুল ইসলামকে জিএস (সাধারণ সম্পাদক) করে ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী অসাম্প্রদায়িক সাধারণ শিক্ষার্থীদের পরিষদ’ নামে ছাত্রলীগের ‘বিদ্রোহী’ প্যানেলটি আত্মপ্রকাশ করে।