চতুর্থ ধাপে আগামী ৩১ মার্চ অনুষ্ঠেয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের গতকাল সোমবার ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। ১৬ জেলার ১২২টি উপজেলায় এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
এর মধ্যে আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ১৮টি উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন।
তবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে একক প্রার্থীর এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। আমাদের বিশেষ প্রতিনিধি, নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হলো :
বাগেরহাটের পাঁচটি উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। তাঁরা হলেন বাগেরহাট সদরে নাসির উদ্দিন, মোংলায় আবু তাহের হাওলাদার, কচুয়ায় মাহফুজুর রহমান, রামপালে শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন ও শরণখোলা উপজেলায় কামাল উদ্দিন আকন।
কুমিল্লার চারটি উপজেলায় আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী রয়েছে। এর মধ্যে লাকসাম উপজেলায় অ্যাডভোকেট মো. ইউনুস ভুইয়া, নাঙ্গলকোটে সামছু উদ্দিন কালু, মনোহরগঞ্জে জাকির হোসেন ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় আবদুস সোবহান ভুইয়া।
ঢাকার সাভার উপজেলায় আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী হলেন মঞ্জুরুল আলম রাজীব এবং কেরানীগঞ্জে শাহীন আহমেদ। ভোলা সদর উপজেলায় মোশারফ হোসেন ও দৌলতখান উপজেলায় মঞ্জুরুল আলম খান। যশোরের শার্শা উপজেলায় সিরাজুল হক মঞ্জু।
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী হলেন অধ্যক্ষ খাইরুল আনম সেলিম এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় আবুল কাশেম ভুইয়া। খুলনার বাটিয়াঘাটায় আশরাফুল আলম খান এবং টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে হারুন অর রশিদ হীরা একক প্রার্থী।
তবে ময়মনসিংহ, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, টাঙ্গাইল, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর ও ফেনীর প্রতিটি উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর পাশাপাশি দলের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। একই সঙ্গে এসব উপজেলায় অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরাও মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।