রাজধানীতে পরিত্যক্ত বাড়ি ৬ হাজার ৪০৯টি। এসব বাড়ি শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং ডিমান্ড নোট হোল্ডারদের অনুকূলে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বরাদ্দকৃত বাড়ির মধ্যে কয়েকটি শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, বরাদ্দপ্রাপক ও ডিমান্ড নোট হোল্ডারদের অনুকূলে বিক্রয় করা হয়েছে। কয়েকটি বাড়ি মালিকদের অনুকূলে অবমুক্ত করা হয়েছে।
গত ৪ মার্চ সোমবার জাতীয় সংসদে হাজী মো. সেলিমের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের এমপি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প এলাকায় ২০০৩-২০১৯ সাল পর্যন্ত ৩, ৫, ৭.৫ ও ১০ কাঠা আয়তনের ২৪ হাজার ৬৯৬টি প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্লটগুলো মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, এমপি ও সমমর্যাদার ব্যক্তি, বিচারপতি, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, সরকারি চাকরিজীবী, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি, বেসরকারি চাকরিজীবী, শিল্পী-সাহিত্যিক, ক্রীড়াবিদ, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী ব্যক্তি, মূল অধিবাসী, ক্ষতিগ্রস্ত এবং ১৩/এ ধারায় (সংরক্ষিত) ক্যাটগরির ব্যক্তিসহ অন্যদের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
গণপূর্তমন্ত্রী জানান, পূর্বাচল নতুন শহর এলাকায় কম-বেশি ১৫ হাজার প্লট চূড়ান্তভাবে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রকল্প উন্নয়ন কাজ চলমান থাকায় অবশিষ্ট প্লট বুঝিয়ে দেয়া সম্ভব হয়নি। তবে ২০১৯ সালের মধ্যে প্রকল্পের উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করে অবশিষ্ট প্লট বুঝিয়ে দেয়া হবে।
এমপি এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী জানান, ২০১০ সালে রাজউক ৩২১টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করেছিল। ২০১৬ সালে রাজউক ওই ভবনগুলোতে পুনরায় জরিপ করে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর মধ্যে মালিকরা এরই মধ্যে ২৫টি ভবন ভেঙে ফেলেছে। ২৮টি ভবন মালিকরা নতুনভাবে নির্মাণ করেছে। বর্তমানে ২৫৫টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন আছে। এসবের মধ্যে ৩৫টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন। আন্তঃমন্ত্রণালয় সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষজ্ঞ দিয়ে ভবনগুলো চূড়ান্তভাবে ঝুঁকিপূর্ণ নিশ্চিতকরণ সাপেক্ষে সেগুলো ভেঙে ফেলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।