বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমদের এক সময়ের জনিপ্রিয় নাটক ‘কোথাও কেউ নেই’ এর নিঃসঙ্গ চরিত্র মুনাকে (সুবর্ণা মুস্তাফা) সংসদে আনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ওই নাটকেরই ‘বাকের ভাই’ চরিত্রের অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর।
বাংলাদেশ টেলিভিশনে ১৯৯৩ সালে প্রচারিত হতো জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক ‘কোথাও কেউ নেই’। যে নাটকে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সাংসদ আসাদুজ্জামান নূর। তাঁর চরিত্রের নাম ছিল বাকের ভাই।
নাটকটিতে বাকের ভাইয়ের নায়িকা সুবর্ণা মুস্তাফা। তাঁর চরিত্রের নাম ছিল মুনা। হুমায়ূন আহমেদের লেখা ধারাবাহিক এই নাটকটির শেষ হয়েছিল বাকের ভাইয়ের ফাঁসির মধ্য দিয়ে। যার মাধ্যমে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েছিলেন নায়িকা মুনা।
আসাদুজ্জামান নূর এবার নিয়ে মোট চারবারের সাংসদ। আর সংরক্ষিত নারী আসন থেকে এবারই প্রথম সাংসদ হয়েছেন মুনা চরিত্রে অভিনয় করা সুবর্ণা মুস্তফা।
আজ বুধবার আসাদুজ্জামান নূর সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ সম্পর্কিত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনা করেন। এ সময় সুবর্ণা মুস্তাফাকে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে বাকের ভাই নামে খ্যাতিমান অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর এ ধন্যবাদ জানান।
বক্তব্যের শুরুতে আসাদুজ্জামান নূর ৩০ বছর আগে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত বিপুল জনপ্রিয় ‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকের প্রসঙ্গ তোলেন।
সংসদে বক্তব্যের শুরুতে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, বক্তব্যের শুরুতে আমি একটু ৩০ বছর পেছনে চলে যেতে চাই। আজ আমি নস্টালজিক।
‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে নূর বলেন, ‘সেই নাটকে বাকের ভাইয়ের ফাঁসি হয়। সেই মুনা নিঃসঙ্গ নায়িকায় পরিণত হয়। তবে আজকে তিনি আর নিঃসঙ্গ নন। তিনি আজকে এই মহান সংসদে সাড়ে তিনশ সংসদ সদস্যের সঙ্গে বসে আছেন। এবং সেই বাকের ভাই চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম আমি, আপনার সামনে দাঁড়িয়ে আছি।’
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে নূর বলেন, এই যে ঘটনাটি ঘটলো, হুমায়ূন আহমেদ তার নাটকে করতে পারেননি। আজকে বাস্তবে এটা সম্ভব হয়েছে। সেই চরিত্রে যে অভিনয় করেছন অসাধারণ শিল্পী সুবর্ণা মুস্তাফা, আজকে তিনি আমাদের সংসদ সদস্য। এই সুযোগটি করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমি আমার পক্ষ থেকে, শিল্পী সমাজের পক্ষ থেকে তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই।