বাজে মন্তব্য করায় নিষিদ্ধ হতে পারেন নেইমার

ক্রীড়া ডেস্ক

নেইমার
ফাইল ছবি

প্রায় শেষ সময়ে বিতর্কিত ভিএআর পেনাল্টির গোলে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে ছিটকে পড়ে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে শেষ ষোলোর ওই ম্যাচের পেনাল্টি নিয়ে ক্ষোভ ঝারেন চোটের কারণে পিএসজির হয়ে খেলতে না পারা নেইমার।

ওই ম্যাচে ম্যাচ অফিসিয়াল এবং উয়েফাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করায় নিষিদ্ধ হতে পারেন ব্রাজিলিয়ান এ সুপারস্টার।

নেইমারকে ছাড়াই প্রথম লেগে ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার স্বপ্নটা তাজা করে রেখেছিল পিএসজি। কিন্তু ফিরতি লেগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে ৩-১ গোলে হেরে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায় ঘন্টা বাজে  তাদের।

পার্ক দেস প্রিন্সেসে ম্যাচের ৯০ মিনিট পর্যন্ত দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল পিএসজি। এরপর আর কোনো অঘটন না ঘটলে উচ্ছ্বাস নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারত স্বাগতিকরা। কিন্তু তাদের কোয়ার্টারে পৌঁছানোর স্বপ্নে বাধা হয়ে দাঁড়ায় বিতর্কের জন্ম দেয়া ভিএআর। বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া ডিয়েগো দালোর শট ঘুরে উঠে লাফিয়ে বাধা দিয়েছিলেন প্রেসনেল কিমপেম্বে ।

প্রথমে রেফারি কর্নারের বাঁশি বাজালেও পরের মুহূর্তেই সিদ্ধান্ত নেন ভিএআরের সাহায্য নেওয়ার। ভিএআরের সাহায্য নিয়ে কিমপেম্বের বিরুদ্ধে হ্যান্ডবলের অভিযোগ এনে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সেই পেনাল্টি থেকে গোল করেই ইউনাইটেডকে কোয়ার্টারে নিয়ে যান মার্কাস র‍্যাশফোর্ড।

কিমপেম্বের সেই বিতর্কিত হ্যান্ডবল নিয়ে নেইমার বলেন, ‘বলটা তাঁর শরীরের পেছনে লেগেছিল, তাহলে সেটা হ্যান্ডবল কীভাবে হয়? খুব বাজে একটা ব্যাপার ঘটেছে। এমন চারজনকে ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যারা ফুটবলই বোঝেন না। এটা কোনভাবেই পেনাল্টি হয় না।’

ঘরের মাঠে হারের পর রেফারির চাঁছাছোলা সমালোচনা করেন নেইমার। সেই হ্যান্ডবলের ছবির স্ক্রিনশট পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়া ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড।

রেফারির এমন কাণ্ডে নেইমারের মাথা ঠিক থাকে কীভাবে! স্বাভাবিকভাবেই মেজাজ ধরে রাখতে পারেননি তিনি। মুখ খারাপ করে সরাসরি উয়েফাকে ‘গালিগালাজ’ করেন। বিষয়টি নজর এড়ায়নি ইউরোপীয় ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থারও। এর জেরে তাকে এখন শাস্তি দেয়ার কথা ভাবছে সংস্থাটি।

উয়েফার আইন অনুযায়ী, ১১ নম্বর ধারা লঙ্ঘন করেছেন নেইমার। ফলে আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগে এক থেকে তিন ম্যাচ পর্যন্ত নিষিদ্ধ হতে পারেন তিনি।

তবে নেইমার শাস্তি পাচ্ছেন না কি না,তা জানা যাবে ২৮ মার্চ। ওই দিন উয়েফার কর্তাব্যক্তিরা বৈঠকে বসবেন। সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। এর আগে এ ধরনের কাণ্ডে শাস্তি পান লিভারপুলের ক্রোয়াট ডিফেন্ডার দেয়ান লভরেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে