ভেনেজুয়েলার রাজধানী কারাকাসসহ দেশটিরে একাধিক শহরে ছড়িয়ে পড়েছে ব্লাকআউট (বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ)। এতে সেদেশের বেশিরভাগই এখন ব্ল্যাকআউটের শিকার।
খবরে প্রকাশ, গত সোমবার হঠাৎ করেই শুরু হয় বিদ্যুৎ বিপর্যয়। এতে অন্ধকার হয়ে যায় দেশেটির অনেক শহর। গতকাল বৃহস্পতিবার অন্যান্য এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে ব্লাকআউট।
আজ শুক্রবার পর্যন্ত দেশটির কর্মজীবীরা কাজ শেষে ঘরে ফেরার সময়ও প্রায় সম্পূর্ণ অন্ধকারে রয়েছে রাজধানী কারাকাসসহ বিভিন্ন শহর।
এদিকে, বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে শহরে গণপরিবহনে সংকট দেখা দিয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় কাজ শেষে হাজার হাজার মানুষকে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে। সন্ধ্যার পর শহরের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। সন্ধ্যা নামার পর থেকে অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে শহরগুলো।
বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং কিছু ল্যাটিন আমেরিকান দেশ সমর্থিত বিরোধী পক্ষের ভেতর উত্তেজনা বাড়ছে। ফ্লাইটগুলো সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে কারাকাসের প্রধান বিমানবন্দর থেকে।
ব্লাকআউটের ঘটনায় ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রপতি নিকোলাস মাদুরো বিরোধী পক্ষকে দোষারোপ করছে।
অভ্যন্তরীণ বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ভেনেজুয়েলা তার তেলের রিজার্ভের পরিবর্তে বিশাল জলবিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপর নির্ভর করে। তবে কয়েক দশক ধরে কম বিনিয়োগের ফলে প্রধান বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একপর্যায়ে ব্লাকআউট খুব সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়।
প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো এ ঘটনাকে ‘সাবোটাজ’ বলে উল্লেখ করেছেন।
তিনি অভিযোগ করেন মার্কিন সাম্রাজ্যবাদীদের’ সহায়তায় অভ্যুত্থানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বিরোধীদলীয় নেতা এবং স্বঘোষিত অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হুয়ান গুয়াইদো। তিনি এ ঘটনায় হুয়ান গুয়াইদোকে দায়ী করেন।
আর গুয়াইদো বলেন, ক্ষমতা দখলকারীদের অযোগ্যতার কারণেই ব্লাকআউট দেখা দিয়েছে।
সূত্র : বিবিসি