হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার রাজাপুর গ্রামের রুমানা আক্তার (২২) ২০১৮ সালের ৪ আগস্ট রাতে বাসা থেকে বের হবার পর নিখোঁজ হন।
পরদিন বাড়ির পাশের একটি ধানী জমিতে পাওয়া যায় রুমানার জবাই করা মরদেহ।
চাঞ্চল্যকর এই মামলাটি তদন্ত করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে রুমানারই প্রেমিক জুবায়ের আহমেদের নিষ্ঠুর চেহারা।
কী ঘটেছিল সেদিন? দীর্ঘ প্রায় সাত মাসের তদন্তে রুমানার খুনের আদ্যোপন্ত বের করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
আজ শনিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে লোমহর্ষক সেই খুনের আগে-পরের ঘটনা বর্ণনা করেছেন হবিগঞ্জ পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুতুবুর রহমান চৌধুরী।
সেই রাতে রুমানাকে ফুসলিয়ে ঘর থেকে বের করেন একই গ্রামের ফুল মিয়ার ছেলে জুবায়ের আহমেদ। রাতেই জুবায়েরসহ তার বন্ধুরা রুমানাকে গণধর্ষণ করে। এ সময় রুমানা প্রতিবাদ করলে প্রেমিকসহ ঘাতকরা তাকে জবাই করে হত্যা করে।
পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুতুবুর রহমান চৌধুরী জানান, রুমানার মা বানেছা বেগম গত বছরের ৬ আগস্ট বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামী করে বাহুবল থানায় একটি হত্যা মামলা করেছিলেন।
এরপর গত বছরের ৪ ডিসেম্বর মামলাটি পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মামলাটি তদন্ত করেন পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক মাইনুল ইসলাম।
দীর্ঘ তদন্ত করে চলতি বছরের মার্চ বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট এলাকা থেকে ঘটনার সাথে জড়িত আসামী সাইফুর রহমানকে আটক করা হয়। তার স্বীকারোক্তিতে একই দিন তার সহযোগী মামুনুর রশিদকে রাজাপুর থেকে ধরে পিবিআই।
এরপর আরেক সহযোগি একই গ্রামের আবু সাঈদকে আটক করা হয়। তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার মূলহোতা প্রেমিক জুবায়েরকে শুক্রবার রাতে একই এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
জুবায়েরর তথ্য অনুযায়ী শুক্রবার রাতে রাজাপুর থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মামলার তদন্ত অফিসার পুলিশ পরিদর্শক মাইনুল ইসলাম ও মোক্তাদির আলম উপস্থিত ছিলেন।