তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ সব শ্রেণির গ্রাহকের জন্য গ্যাসের দাম দ্বিগুণের বেশি করার প্রস্তাব দিয়েছে। একইসঙ্গে শিল্প ও সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দামও বাড়ানোর কথাও বলা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার গ্যাসের দাম গড়ে ১০৩ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে সংস্থাটি।
প্রস্তাব অনুযায়ী, গৃহস্থালি পর্যায়ে দুই বার্নার চুলার জন্য গ্যাসের দাম ৮০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৪০ টাকা এবং এক বার্নার চুলার জন্য ৭৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৩৫০ টাকা করার কথা বলা হয়েছে।
নয় মাসের ব্যবধানে আবারও গ্যাসের দাম বাড়াতে সোমবার থেকে গণশুনানি শুরু করেছে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। প্রথম দিনে গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেয় পেট্রোবাংলা। তবে গণশুনানিতে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়ার তীব্র বিরোধিতা করেন বিশেষজ্ঞ ও অংশীজনরা।
এছাড়া, গ্যাসের সঞ্চালন চার্জ ৩৩ শতাংশ বাড়ানোর আবেদন করে জিটিসিএল।
এ বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, একবার মূল্যবৃদ্ধির ১২ মাসের মধ্যে নতুন করে মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব আইন অনুযায়ী অবৈধ।
গ্যাসের দাম বাড়ানোর কারণ হিসেবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গণমাধ্যমকে বলেছেন, গ্যাসে বড় অংকের একটা ভর্তুকি দেয় সরকার। সেই ভর্তুকিটা আমরা ধীরে ধীরে কমিয়ে আনার চেষ্টা করছি। এই যে বাড়াচ্ছি তার জন্য যে আমাদের লাভ হবে তা তো না।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১ মার্চ প্রথম দফায় ও ১ জুন থেকে দ্বিতীয় দফায় গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়।