জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় ফজলুল হক নামে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা করা হয়েছে। নিহত ফজলুল হকের স্ত্রী আঞ্জুয়ারা খাতুন এ হত্যা মামলা করেন।
হত্যা মামলা দায়েরের পর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আদালতের আদেশে ২১ দিন পর আজ মঙ্গলবার সকালে কবর থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়। উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের ফুলদহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম উপস্থিতি ছিলেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ফুলদহ গ্রামের ওয়াহেদ আলীর ছেলে কাঠ ব্যবসায়ী ফজলুল হক। ১৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় একই গ্রামের আব্দুল ছাত্তারের ছেলে এরশাদ ব্যবসায়িক কাজে বাড়ি থেকে ফজলুল হককে ডেকে নিয়ে যান।
এ সময় ফজলুল হক ৭৫ হাজার টাকা নিয়ে বের হন। ওই রাতেই এরশাদ মোবাইল ফোনে বাড়ির পরিবারের সদস্যদের জানান, ফজলুল হক সিএনজি দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন। পরে তাকে জামালপুর থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান।
১৯ ফেব্রুয়ারি পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ সময় নিহত ফজলুল হকের ডান হাত ভাঙা ছিল। এ ঘটনার কয়েকদিন পর পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন ওই দিন কোনো সিএনজি দুর্ঘটনা ঘটেনি। পরিকল্পিতভাবে ফজলুল হককে হত্যা করা হয়েছে।
এ অভিযোগে ২৭ ফেব্রুয়ারি এরশাদসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করে নিহত ফজলুল হকের স্ত্রী আঞ্জুয়ারা খাতুন বাদী হয়ে জামালপুর আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের এসআই রাকিব বলেন, কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। মরদেহ গলে যাওয়ায় আঘাতের চিহ্ন শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ জামালপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে।