আজ মির্জাপুর যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে যাবেন। মির্জাপুরের দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা স্মারক স্বর্ণপদক-২০১৯ প্রাপ্তদের মধ্যে পদক প্রদান এবং কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের সেবা কার্যক্রমের ৮৬তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন তিনি।

উপমহাদেশের প্রখ্যাত দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা স্মারক স্বর্ণপদক-২০১৯ প্রাপ্তদের মধ্যে পদক প্রদান এবং কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের সেবা কার্যক্রমের ৮৬তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা।

universel cardiac hospital

এ উপলক্ষে পুরো কমপ্লেক্সকে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। নতুন রূপে সাজানো হয়েছে কুমুদিনী হাসপাতালের মূল ফটকসহ প্রতিটি ভবন। পাশাপাশি নতুন রঙে সাজানো হয়েছে কুমুদিনী হাসপাতাল।

এবার রণদা প্রসাদ সাহা স্মারক স্বর্ণপদকপ্রাপ্তরা হচ্ছেন- হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী (মরণোত্তর), কবি কাজী নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম এবং চিত্রশিল্পী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাবউদ্দিন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মির্জাপুরের তিনটিসহ ৩১টি উন্নয়নকাজের ফলক উন্মোচন করবেন। এর মধ্যে মির্জাপুর উপজেলা কমপ্লেক্সের নবনির্মিত প্রশাসনিক ভবন, মির্জাপুর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে ভবন ও মির্জাপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস ভবন উল্লেখযোগ্য।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা এবং মন্ত্রিপরিষদের কয়েকজন মন্ত্রী মির্জাপুর যাবেন। মির্জাপুরে কুমুদিনী ওয়েফেয়ার ট্রাস্টের সেবা কার্যক্রম পরিদর্শন ও ভারতেশ্বরী হোমসের ছাত্রীদের মনোজ্ঞ ডিসপ্লে উপভোগ করবেন তারা।

জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথমবারের মতো টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রীকে মির্জাপুরে পেয়ে নানা আয়োজন করেছে কুমুদিনী কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আপ্যায়নে ভিন্নতা এনেছে তারা।

বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ধারক হস্তশিল্পের ঐতিহ্য কাঁসার প্লেটের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর জন্য খাবার পরিবেশন করবে কুমুদিনী কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার দুপুরে মির্জাপুরে খাবার খাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর খাবারে থাকছে ৩০ থেকে ৩৩ রকমের তরকারি ও মিষ্টান্ন। কাঁসার প্লেটের মাধ্যমে এসব খাবার পরিবেশন করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মির্জাপুর এবং কুমুদিনী কমপ্লেক্সে এটাই তার প্রথম সফর। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

পুলিশের এক হাজার ২০০ সদস্যসহ অন্তত দেড় সহস্রাধিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়।

প্রসঙ্গত, টাঙ্গাইলের কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার স্মরণে প্রতি বছর এ পদক দেয়া হয়।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে