ওয়েলিংটন টেস্টেও তাঁর খেলার সম্ভাবনা ছিল। তবে নেটে টেনিস ও রাবার বলের পর ক্রিকেট বলে ব্যাটিং করতে গিয়েই বাধে বিপত্তি। লিগামেন্টে চোট অনুভব করায় মুশফিকুর রহিমকে পাওয়ার আশা ছেড়েই দেয় টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে সব কিছু ঠিক থাকলে ১৬ মার্চ থেকে ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে শুরু হতে যাওয়া সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্টে খেলার কথা আছে তাঁর।
যদিও এই টেস্ট সামনে রেখে অন্য আর তেমন কিছুই ঠিক নেই বাংলাদেশ দলের। অনভিজ্ঞ পেস বোলিং আক্রমণ তো ভরসা হয়ে উঠতেই পারেনি। আর ভরসা যাঁরা, সেই ব্যাটসম্যানরাও নিউজিল্যান্ডের ফাস্ট বোলার বিশেষ করে নেইল ওয়াগনারের শর্ট বলে ক্রমাগত ভুলের ফাঁদে পা দিয়ে আসছেন। হ্যামিল্টনে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংস আশা জাগালেও ওয়েলিংটনে তিন দিনের টেস্ট দুই দিনে হারায় দলের আত্মবিশ্বাসও খুব ভালো জায়গায় থাকার কথা নয়। শর্ট বল যেহেতু এখন পর্যন্ত অব্যর্থ ফর্মুলা হিসেবে প্রমাণিত, তাই ক্রাইস্টচার্চেও কিউইরা একই অস্ত্রে আবারও নিশ্চিতভাবেই ঘায়েল করতে চাইবে সফরকারীদের। সেটি থেকে সুরক্ষার কোনো উপায় কি খুঁজে নিতে পেরেছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা?
কাল ক্রাইস্টচার্চে রওনা হওয়ার আগে মোহাম্মদ মিঠুন যা বললেন, তাতে মনে হতেই পারে যে ওয়েলিংটনের শর্ট বল ‘হ্যাং ওভার’ এখনো কাটেনি, ‘দুটি দুই রকম ফরম্যাট। ওয়ানডের সঙ্গে টেস্টের কোনো মিলই নেই। ওয়ানডেতে বোলার যে পরিকল্পনায় বোলিং করে, টেস্টে পরিকল্পনা থাকে পুরোপুরি ভিন্ন। তা ছাড়া আমাদের এই কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার যথেষ্ট সময়ও ছিল না। তার ওপর ওরা আমাদের যেভাবে আক্রমণ করেছে এবং যে ধরনের বোলিং করেছে, তাতে সমস্যা না হলে তো ফলাফল এমন হতো না।’
সমস্যা হলেও দলের কেউ নিজের শতভাগ উজাড় করে দিতে কার্পণ্য করেননি বলেও দাবি মিঠুনের, ‘টেস্ট ক্রিকেটই এমন। এর সঙ্গে অন্য সব ফরম্যাটের পার্থক্যটি এখানেই। আপনি কতটা মানসিক শক্তি নিয়ে খেলতে পারেন এবং কতটা দৃঢ়তা দেখাতে পারেন, এর ওপরই নির্ভর করে সব। আমি নিশ্চিত সবাই শতভাগই দেওয়ার চেষ্টা করে। আমরা তো কোনো ক্লাব বা পাড়ার হয়ে ক্রিকেট খেলছি না, আমরা দেশের হয়ে খেলছি। চেষ্টা সব সময়ই থাকে। কিন্তু প্রতিদিন তো সবাই পারে না।’