ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে অসাধারণ হ্যাটট্রিকে জুভেন্টাসকে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে তুলেছেন।
ম্যাচ শেষে আবেগের বশে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সমর্থকদের উদ্দেশে বাজে অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করেন তিনি। এজন্য নিষিদ্ধ হতে পারেন সিআর সেভেন।
রোনাল্ডো-অ্যাটলেটিকো দ্বৈরথ নতুন নয়। নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদে থাকাকালীন তাকে ত্যক্তবিরক্ত করে ছেড়েছেন ডিয়েগো সিমিওনের শিষ্যরা। এখনও তার পিছু ছাড়েননি তারা।
দ্বিতীয় রাউন্ডের ফিরতি পর্বে অ্যাটলেটিকোর মুখোমুখি হয় রোনাল্ডোর নতুন দল জুভেন্টাস। অতীত ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় তার সঙ্গে বৈরিতা আছে সিমিওনের। অধিকন্তু খেলোয়াড়ি জীবনে লাৎসিও ও ইন্টার মিলানের ফুটবলার হওয়ায় মোটেও জুভদের সহ্য করতে পারেন না তিনি।
তাই তো নিজেদের ডেরায় প্রথম লেগে ২-০ গোলে জেতার পর নিজের অণ্ডকোষ হাত দিয়ে চেপে ধরে স্বীয় দর্শকদের উদ্দেশে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেন আর্জেন্টাইন কোচ। অবশ্য এতেই সীমাবদ্ধ ছিলেন তিনি।
বিষয়টি ভালো লাগেনি রোনাল্ডোর। ভেতরে-ভেতরে তেতে ছিলেন তিনি। সমুচিত জবাব দিতে মুখিয়ে ছিলেন। অ্যাটলেটিকোকে টপকে পরের রাউন্ডে যেতেই হবে যেন এ পণই করেছিলেন। মাঠে তা-ই দেখিয়ে দিয়েছেন পর্তুগিজ যুবরাজ। ঘরের মাঠে অনন্য হ্যাটট্রিক করে অ্যাটলেটিকোকে ৩-০ গোলে হারিয়ে দলকে শেষ আটের টিকিট এনে দিয়েছেন।
ম্যাচ শেষে সিমিওনের প্রতি রাগ-ক্ষোভ উগরে দেন রোনাল্ডো। সিমিওনে যেভাবে অঙ্গভঙ্গি করেন, ঠিক সেভাবেই দর্শকদের অসম্মান করেছেন তিনি। তবে মাত্রাটা হয়ে গেছে বেশি। অ্যাটলেটিকো কোচ নিজ দলের সমর্থকদের দিকে তাকিয়ে সেই অঙ্গভঙ্গি করেছিলেন।
আর পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার করেছেন প্রতিপক্ষ দর্শকদের দিকে তাকিয়ে। সেই সঙ্গে গালিগালাজও করেছেন। ফলে প্রতিপক্ষ কোচের চেয়ে বেশি শাস্তি পেতে পারেন তিনি।
অশালীন আচরণ করায় সিমিওনেকে ২০ হাজার ইউরো জরিমানা করে ইউরোপীয় ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা (উয়েফা)।
পক্ষান্তরে অর্থ জরিমানা তো বটেই, চ্যাম্পিয়নস লিগে এক থেকে তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ হতে পারেন রোনাল্ডো। উয়েফার কাছে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যাটলেটিকো।