বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ডেন্টাল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক, খাদ্যমন্ত্রী সাধন কর্মকারের বড় মেয়ের জামাই রাজন কর্মকারের মৃত্যু নিয়ে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। রাজনের মরদেহ বর্তমানে ধানমন্ডির স্কয়ার হাসপাতালে রয়েছে।
স্বজনরা তার মৃত্যুকে অস্বাভাবিক দাবি করে মরদেহের ময়নাতদন্তের দাবি করেছেন।
রাজনের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় পুলিশ হাসপাতালে গেছে বলে জানিয়েছেন তেজগাঁও জোনের এডিসি সাত্যকী কবিরাজ ঝুলন।
আজ রোববার ভোরে সহযোগী অধ্যাপক রাজন কর্মকারকে ফার্মগেটের ইন্দিরা রোডের বাসা থেকে স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিছু সময় পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাজনের পরিবারের দাবি, স্ত্রীর সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে ঝামেলা চলছিল রাজনের। তার মৃত্যুর পেছনে এটি একটি কারণ হয়ে থাকতে পারে বলে তাদের সন্দেহ। এ জন্য শেরেবাংলা নগর থানা ও তেজগাঁও থানায় মামলা করতে গিয়েছিলেন, কিন্তু পুলিশ মামলা নেয়নি।
তবে পুলিশ বলছে, মামলা করতে কেউ থানায় যায়নি। তেজগাঁও জোনের এডিসি সাত্যকী কবিরাজ ঝুলন গণমাধ্যমকে বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে হাসপাতালে গেছে। এই ব্যাপারে পরিবারের কেউ থানায় মামলা করতে আসেনি। আমরা ভালো করে বিষয়টির খোঁজ-খবর নিচ্ছি।
তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলামও জানান, তার থানায় এ ব্যাপারে মামলা করতে কেউ যায়নি। তিনি প্রকৃত ঘটনা জানতে থানায় রয়েছেন।
ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে রাজনের মামা সুজন কর্মকার দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, লাশের ময়নাতদন্তের মাধ্যমে তার মৃত্যুর কারণ জানতে চাই। এর জন্য প্রশাসনকে যা যা করা প্রয়োজন আমরা তা-ই করতে বলব। ময়নাতদন্তের জন্য যেসব নিয়ম আছে সেগুলো পালন করছেন তারা।
রাজনের স্ত্রী কৃষ্ণা কাবেরী বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। রাজনের পারিবারিক সূত্র জানায়, বছর খানেক আগে রাজনের স্ত্রী তার মাথায় আঘাত করলে তিনি (রাজন) এক মাস পপুলার হাসপাতাল, সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিএসএমএমইউর আইসিইউতে চিকিৎসা নেন।