মায়ের পছন্দের পাত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সাদিয়া পারভীন শিমুকে বিয়ে করলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার মুস্তাফিজুর রহমান।
আজ শুক্রবার বেলা তিনটায় সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামে তার আপন মেজ মামা রওনাকুল ইসলাম বাবুর মেয়ে শিমুর সাথে এই বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
মুস্তাফিজ সাংবাদিকদের সাথে কোনো কথা না বললেও তার বড় ভাই মাহফুজুর রহমান মিঠু মুস্তাফিজ-শিমু দম্পত্তির জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
পারিবারিক সূত্র থেকে জানা যায়, কালিগঞ্জের তেতুলিয়া গ্রামের হাজী আবুল কাশেম ও মাহমুদা দম্পত্তির ছোট ছেলে বিশ্বখ্যাত ক্রিকেটার মুস্তাফিজুর রহমানের সাথে বিয়ে হয় সাদিয়া পারভীন শিমুর। শিমুর বাবা দেবহাটা উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের রওনাকুল ইসলাম বাবু। তার এক ছেলে ও চার মেয়ের মধ্যে শিমু তৃতীয়। শিমু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিষয় নিয়ে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে লেখাপড়া করছেন।
বেলা পৌনে তিনটার দিকে বাবা-মা-ভাই ও বন্ধু-বান্ধবসহ ৩০/৩২ জন বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়িতে আসেন মুস্তাফিজ। শেরওয়ানী পরা থাকলেও পাগড়ী পরেননি মুস্তাফিজ। তাকে কোলে করে বিয়ের আসরে নিয়ে যেতে চাইলেও তিনি কোলে উঠতে অস্বীকৃতি জানান। একপর্যায়ে পায়ে হেঁটেই বিয়ের মঞ্চে বসেন তিনি।
এ সময় নওয়াপাড়া ইউনিয়নের নিকাহ্ রেজিস্টার আবুল বাশার ৫ লাখ এক টাকা দেন মোহরে মুস্তাফিজ ও সাদিয়া পরভীন শিমুর বিয়ে পড়ান।
মুস্তাফিজের স্ত্রী শিমু ২০১৮ সালে দেবহাটার সখিপুর খান বাহাদুর আহসানউল্লাহ কলেজ থেকে ‘এ+’ (প্লাস) পেয়ে এইচএসসি পাস করেন। এর আগে ২০১৬ সালে নলতা হাইস্কুল থেকে তিনি গোল্ডেন ‘এ+’ প্লাস পেয়ে পাস করেন এসএসসি।
মুস্তাফিজের সেজভাই মোখলেসুর রহমান পল্টু জানান, পারিবারিকভাবে আজ আকদ হলেও আনুষ্ঠানিকতা হবে আগামী ক্রিকেট বিশ্বকাপের পর। মূলত নিউজিল্যান্ডের ওই ঘটনার পর বাড়িতে এসেও ওর (মুস্তাফিজ) মন অনেক খারাপ ছিল। সে কারণেই আমার বিয়ের সিদ্ধান্ত নেই।