দেশের একটা মানুষও না খেয়ে মরবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তিনি বলেছেন, প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের একটি মানুষও ক্ষুধার্ত থাকবে না, গৃহহারা থাকবে না। বিনা চিকিৎসায় কষ্ট পাবে না। তাদের জীবনটা অর্থবহ হবে, সুন্দর হবে, উন্নত হবে- সেটাই আমাদের লক্ষ্য।
আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত স্বাধীনতা পদক-২০১৯ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, প্রত্যন্ত গ্রামের প্রতিটি মানুষের ঘরে যেন স্বাধীনতার সুফল পৌঁছায়, প্রতিটি মানুষ যেন উন্নত জীবন পায় সেজন্য কাজ করছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের জীবনে এ স্বাধীনতার সুফল পৌঁছাক। যেটা জাতির পিতার লক্ষ্য ছিল, স্বপ্ন ছিল। তিনি বেঁচে থাকলে আমরা স্বাধীনতার পাঁচ থেকে দশ বছরের মধ্যেই তা অর্জন করতে পারতাম। কিন্তু ১৫ই আগস্ট আমাদের সেই সম্ভাবনা কেড়ে নিয়েছে। কিন্তু আজকে যখন আমরা সেই সুযোগটা পেয়েছি তার আদর্শ বুকে ধারণ করে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।
বাংলাদেশ ৮ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে যাচ্ছে এমন আশা ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, আজকের বাংলাদেশ আমাদের এক দশকের প্রচেষ্টার বাংলাদেশ। আমরা আমাদের প্রবৃদ্ধি এ অর্থবছরে আট ভাগ অর্জন করতে যাচ্ছি। আমাদের মাথাপিছু আয় এক হাজার ৯০৯ মার্কিন ডলার অর্জন করতে যাচ্ছি।
স্বাধীনতা দিবস নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। এ দিবস আমরা আগামীকাল উদযাপন করব। আজকে ২৫শে মার্চ, গণহত্যা দিবস। ইতোমধ্যে আমরা কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর গণহত্যা চালিয়েছিল, আমরা লাখো মানুষ হারিয়েছি। কাজেই এ দিনটি গণহত্যা দিবস হিসেবে যেন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায় সেটার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
অনুষ্ঠানে ১২ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের হাতে এ বছরের স্বাধীনতা পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।