নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, “আমাদের স্বাধীনতা পরাধীনতার শামিল। আমাদের ব্যাংকের গ্যারান্টি নাই, জীবনের নিরাপত্তা নাই। আর এসবের মাঝে ক্ষমতাসীন দল বোঝাতে চাইছে যে, আমাদের জীবনযাত্রা উন্নত হচ্ছে। মূলত স্বাধীনতার পর থেকেই এই স্বাধীনতা হরণ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। তখনই মানুষ প্রতিবাদ করেছিলো। আর তা রুদ্ধ করার জন্য মাত্র ১১ মিনিটে সংসদে রেজুলেশন করে বাকশাল পাস করা হয়। আর বর্তমান সরকারের নেতারা এখন সেই বাকশালের প্রশংসা করছেন।”
দেশ জিডিপিতে উন্নতি করলেও কার্যত তা উন্নতি নয়
দাবি করে তিনি আরো বলেন, “আমাদের দেশে উন্নতি মানে
শুধু জিডিপির অংক। এটা জবলেস
জিডিপি। আমাদের বুঝতে হবে যে এটা
শুধু একটা পরিসংখ্যান ও
সংখ্যা। জিডিপির উন্নতি দিয়ে দেশ ও জাতির
উন্নতি হয় না।”
আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘স্বাধীনতা ও সাম্প্রতিক রাজনীতি’
শীর্ষক এক আলোচনা সভায়
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা
বলেন।
এ সময় ডাকসু নির্বাচন সম্পর্কে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, “কোটা আন্দোলন করে একটি ছেলে ডাকসুর ভিপি হয়েছে। সে (নুরুল হক নুর) জিতেছে কারণ সে আন্দোলন করেছে। আর সেই আন্দোলনে আপনারা (সরকার) তাকে অত্যাচার করেছেন। সে তো আমাদের চাকরির কথা বলেছে। তাই সে জিতেছে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তিনি আরো বলেন, রাত ১২টা পর্যন্ত যে ভোট গণনা হয়েছে, ভোর ৩টা পর্যন্ত ভোট গণনা টেনে না নিয়ে যদি তখনই ফল ঘোষণা করা হতো তাহলে জিএস সহ অন্যান্য পদেও কোটা আন্দোলনের নেতারা বিজয়ী হতো।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জোট এখনো টিকে আছে-এ দাবি করে মান্না বলেন, “ঐক্যফ্রন্ট টিকবে। কিছু সমালোচনা হয়েছে। তবে পরস্পরের প্রয়োজনে, লড়াই-সংগ্রামের তাগিদে এই জোট চলবে। নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে না পারায় কিছু হতাশা অনেকের মধ্যে কাজ করেছে। কেউ কেউ খুব নেতিবাচক কথা বলেছেন। তবে এই ঐক্য টিকবে। সামনের দিনগুলোতে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে আসব।”
আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মাঝে আরো বক্তব্য রাখেন সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক, নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কমিটির কেন্দ্রীয় নেতা ও সদস্যরা।
