পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন নির্যাতন-নিপীড়ন আর হত্যা-ধর্ষণ থেকে প্রাণে বাঁচতে মিয়ানমার ছেড়ে এসে কক্সবাজারে আশ্রয়শিবিরে থাকা রোহিঙ্গারা রাজি হলেই তাদের নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন।
আজ বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের একথা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যদি তারা রাজি থাকে আর সবাই (আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়) চায় তাহলেই তাদের স্থানান্তর করা হবে।
মিয়ানমারের রাখাইন থেকে এই পর্যন্ত বাংলাদেশে ঢোকা রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় ১১ লাখ বলে ধারণা করা হয়। কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির ও তার বাইরেও কিছু এলাকায় তারা বাস করছে।
এসব রোহিঙ্গার একটি অংশকে হাতিয়ার কাছে মেঘনা নদীর মোহনার বিরান ভাসান চরে স্থানান্তরের এই পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এরইমধ্যে সেখানে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে এক লাখের বেশি মানুষের আবাসন ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
তবে সাগরের ভেতরে জনমানবহীন ওই চরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার মধ্যে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আশ্বস্ত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যে ব্যবস্থা ওখানে করা হচ্ছে, তা ব্যাপক। তারা যাতে একটু ভালো থাকতে পারে সেজন্যই আমরা এটা করছি। এখন সবাই যদি এটাকে সমস্যা মনে করে, আমরা তাদের সেখানে পাঠাবো না। আর সবাই যদি বলে যে তারা স্বেচ্ছায় সেখানে যাবে, আমরা তাদের স্থানান্তর করব।