কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মিয়ানমারের দুই রোহিঙ্গা নাগরিক এবং দুই জলদস্যু নিহত হয়েছেন।
আজ বুধবার ভোররাতে উপজেলার খারাংখালী এলাকায় ও পেকুয়ার মগনামা ইউনিয়নের লঞ্চঘাটের সামান্য দক্ষিণ দিকে সমুদ্র চ্যানেলের বেড়িবাধে এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা দুটি ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
টেকনাফের ২নং বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দার জানান, ভোর সাড়ে ৪টার দিকে টেকনাফ উপজেলার খারাংখালীর নাফ নদ সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে দুই রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করেন। এ সময় সেখানে টহলরত বিজিবির সদস্যরা তাদের বাধা দেন। এতে তারা বিজিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থলে দুজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাদের দেহ তল্লাশি করে এক লাখ ৯০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
পরে গুলিবিদ্ধদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
নিহতদের টেকনাফ থানা পুলিশের মাধ্যমে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিজিবি বাদী হয়ে একটি মামলা করবে বলে জানান বিজিবির ওই কর্মকর্তা।
এদিকে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ জলদস্যু নিহত হয়েছেন।
বুধবার ভোর রাতে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের লঞ্চঘাটের সামান্য দক্ষিণ দিকে সমুদ্র চ্যানেলের বেড়িবাধে র্যাব-৭ এর সদস্যদের সঙ্গে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
পেকুয়া থানার ওসি জাকের হোসেন ভুইয়া জানান, র্যাব সদস্যরা দুজনের মৃতদেহ পেকুয়া থানায় দিয়ে গেছে।
নিহতদের মৃতদেহ ময়না তদন্তের কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে র্যাব সদস্যরা নিহতদের জলদস্যু বলে উল্লেখ করেছেন।