৩০ ডিসেম্বর ভোটের রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এক নারীকে দলবেঁধে ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি রুহুল আমিনের আইনজীবী আশেক-ই-রসুলের বিরুদ্ধে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আজ বুধবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আশেক-ই-রসুল নামের ওই আইনজীবী তথ্য গোপন ও আদালতকে বিভ্রান্ত করায় তার বিরুদ্ধে এ রুল জারি হয়।
রুলে আশেক-ই-রসুলের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার শাস্তি দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন।
গত ১৮ মার্চ রুহুল আমিনের এক বছরের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেছিলেন হাইকোর্ট। আর ২৩ মার্চ শনিবার ছুটির দিন বিশেষ আদালত বসিয়ে আসামি রুহুল আমিনের জামিন বাতিল করেন হাইকোর্ট।
গত ২৫ মার্চ সুবর্ণচরের ওই ধর্ষণের মামলার মূল আসামি রুহুল আমিনকে ‘প্রতারণার মাধ্যমে’ জামিন নিয়ে দেওয়া আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। সেদিন রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতে মৌখিক আবেদন করেন। ওই জামিনে আদালতকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা সংশ্লিষ্ট আদালতকে অবহিত করেন।
এরপর আদালত রুহুল আমিনের আইনজীবীকে হাজির হতে বললে তিনি দেশের বাইরে রয়েছেন বলে তার জুনিয়র আদালতকে জানান। আদালত শুনানির জন্য ২৭ মার্চ দিন ধার্য করেন।
উল্লেখ্য, ৩০ ডিসেম্বর ভোটের রাতে রুহুল আমিনের নির্দেশে তার অনুসারীরা এক নারীকে দলবেঁধে ধর্ষণ করেন। ভুক্তভোগীর স্বামীর করা মামলায় পুলিশ রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করে। সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য রুহুল আমিনকে পরে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।