ইউটিউব ও গুগলে কন্টেন্ট নিয়ে বিপাকে রয়েছে ইউটিউবারবা। কপিরাইট আইন পাসের পক্ষে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টে ভোট হয়েছে। এতে আইনটির পক্ষে ভোট পড়েছে বেশি। তবে এ আইন পাসে বিরোধিতায় রয়েছে গুগল ও ইউটিউব।
এই বিতর্কিত আইনটি পাস করার পক্ষে ভোট দিয়েছেন ইউরোপিয়ান সংসদের ৩৪৮ জন সংসদ সদস্য, আর এর বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ২৭৮ জন।
বিরোধিতার কারণঃ নতুন এ নীতিমালায় (বিতর্কিত অনুচ্ছেদ ১৩সহ) অনুমতি ছাড়া কপিরাইট আইন ভঙ্গ করে কোনো কিছু ইন্টারনেটে প্রকাশ করা হলে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো তার দায়ভার নেবে। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের ওপর দায়-দায়িত্ব থাকছে।
জানা গেছে, মিম ও জিআইএফ শেয়ার করা এই নতুন আইনের অন্তর্ভুক্ত হবে না।
অনেক সঙ্গীতশিল্পী, চিত্র ও কারুশিল্পী মনে করেন এই নিয়ম বাস্তবায়ন হলে শিল্পীদের আর্থিক মূল্যায়ন সঠিকভাবে হবে।
এদিকে আবার অন্য অনেকেই মনে করেন এর ফলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের তৈরি করা কাজ, যেগুলোকে ইউজার-জেনারেটেড কন্টেন্ট বলা হয় যা ধ্বংসের মুখে পড়বে।
কপিরাইটঃ কপিরাইট হলো একজন ব্যক্তির আইনি অধিকার, যা ওই ব্যক্তির তৈরি করা কোনো কাজ কোথায় এবং কীভাবে ব্যবহার হবে তার সুরক্ষা নিশ্চিত করে।
তবে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি, বর্তমান আইনের অধীনে শিল্পীদের ন্যায্য সম্মানীই দেয়া হচ্ছে।
এ নিয়ে গুগল বলেছে, এই আইন ‘ইউরোপের ডিজিটাল ও সৃজনশীল শিল্পকে ক্ষতিগ্রস্ত’ করবে।
বিতর্কের বিষয়ঃ আইনটির দুটি ধারা নিয়ে সবচেয়ে বেশি বিতর্ক তৈরি হচ্ছে, সেগুলো অনুচ্ছেদ ১১ ও অনুচ্ছেদ ১৩ হিসেবে পরিচিত।
অনুচ্ছেদ ১১ অনুযায়ী, যে কোনো নিউজ ওয়েবসাইটের লিঙ্ক ব্যবহার করতে সার্চ ইঞ্জিন এবং নিউজ অ্যাগ্রিগেট প্ল্যাটফর্মগুলোকে অর্থ দিতে হবে।
অনুচ্ছেদ ১৩ অনুযায়ী, কপিরাইট লাইসেন্স ছাড়া যে কোনো কিছু পোস্ট করলে বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে দায়বদ্ধ করা হবে। কপিরাইট করা কাজ ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও আরোপিত হবে কড়াকড়ি। এরই মধ্যে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো কপিরাইটসহ পোস্ট করা গান এবং ভিডিও সরিয়ে নিয়েছে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা