উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে আ. লীগ: হানিফ

ডেস্ক রিপোর্ট

ছবি : সংগৃহিত
ছবি : সংগৃহিত

আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দল মনোনীত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে যেসব মন্ত্রী ও সাংসদেরা অবস্থান নিয়েছিলেন বা নিচ্ছেন, তাঁদের তালিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দলের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকেরা এই তালিকা করে জমা দিলে দলের কার্যনির্বাহী কমিটি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।

রোববার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক শেষ সংবাদ সম্মেলনে মাহবুবউল আলম হানিফ এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, আগামী ৫ এপ্রিল দলের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে দলের বিদ্রোহী এবং বিদ্রোহীদের পক্ষাবলম্বনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হবে। তিনি বলেন, আজকের বৈঠকে দলের আগামী সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রস্তুতি ও মুজিব বর্ষ পালনে গঠিত দলের আটটি টিমের খসড়া করা হয়েছে। এই সংসদের বৈঠকে সেগুলোর অনুমোদন পাওয়ার পর প্রস্তুতির কার্যক্রম শুরু করা হবে। ৫ এপ্রিল কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এই টিমগুলো যাচাই বাছাই, সংযোজন বিয়োজন করে চূড়ান্ত করা হবে।

বাকশাল নিয়ে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে জাতির ঐতিহাসিক প্রয়োজনেই বঙ্গবন্ধু বাকশাল গঠন করেছিলেন। বিএনপির যে নেতারা বাকশাল নিয়ে বিষোদ্‌গার করছেন, তাঁদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানও বাকশালের সদস্য হওয়ার আবেদন করেছিলেন। বাকশাল জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার একটি ধারণা ছিল।

ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের পুনরায় নির্বাচনের দাবির বিষয়ে হানিফ বলেন, পাঁচ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তখন নির্বাচন কমিশন নির্বাচন দেবে। তিনি তাতে অংশ নেবেন বলে আশা করি। গত নির্বাচনে ড. কামাল হোসেন নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় তাঁদের জনবিচ্ছিন্নতাই প্রমাণিত হয়েছে। জাতির কাছে তাঁদের দাবির কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই।

এফ আর টাওয়ারে আগুন নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা সম্পর্কে বিএনপির করা অভিযোগ বিষয়ে হানিফ বলেন, সরকার গত ১০ বছরে ফায়ার সার্ভিসের দ্বিগুণ উন্নতি করেছে, ক্ষেত্র বিশেষে তিন গুন। এই অগ্নিকাণ্ডের পর আমাদের উদ্ধার কর্মীরা যে দক্ষভাবে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করেছেন, গোটা জাতি যখন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন, সে সময় আমরা দেখছি আমাদের দেশের একটি জনবিচ্ছিন্ন দলের নেতারা মিথ্যাচার করছেন। তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার ফায়ার সার্ভিসের কোনো উন্নয়ন করেনি, এটা পুরোপুরি মিথ্যাচার। বর্তমান সরকারের সময় ফায়ার স্টেশন ও জনবল দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। নতুন অনেক সরঞ্জাম কেনা হয়েছে। ইতিমধ্যে ১৯৮টি ফায়ার সার্ভিস প্রকল্প চালু করা হয়েছে। যারা এই সরকারের আমলে ফায়ার সার্ভিসকে আধুনিকায়ন করা হয়নি বলে মিথ্যাচার করছে, তাদের বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আহমদ হোসেন, বাহাউদ্দিন নাছিম, বি এম মোজাম্মেল হক, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলওয়ার হোসেন প্রমুখ ।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে