কক্সবাজারে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রোহিঙ্গা নারীসহ ৩ জন নিহত

সারাদেশ ডেস্ক

বন্দুকযুদ্ধ
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশ ও বিজিবির সঙ্গে পৃথক দুটি বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় এক রোহিঙ্গা নারীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন, নিহতরা ইয়াবা কারবারি বলে দাবি করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

রবিবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে উপজেলার মৌলভীবাজার এলাকায় পুলিশের সঙ্গে এবং একই উপজেলার দমদমিয়া নাফ নদীর ওমরখাল এলাকায় বিজিবির সঙ্গে এসব বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে ছয়টি এলজি বন্দুক, ২০ হাজার পিস ইয়াবা ও ১৮টি তাজা কার্তুজ উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

মৌলভীবাজার এলাকায় নিহতরা হলেন- হ্নীলা ইউনিয়নের আলী আকবরপাড়ার মিয়া হোসেনের ছেলে মাহমুদুর রহমান এবং হোয়াইক্ষ্যং নয়াপাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে আফছার। তাদের বিরুদ্ধে মাদকসহ বেশ কয়েকটি মামলা আছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাশ।

অন্যদিকে দমদমিয়া ওমরখালের নাফ নদী এলাকায় নিহত নারীর নাম রুমানা আকতার। তিনি লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি/৬ ব্লকের বদরুল ইসলামের স্ত্রী।

জানা গেছে, রবিবার রাতে ইয়াবা বিক্রির খবর পেয়ে টেকনাফ উপজেলার মৌলভীবাজার এলাকায় অভিযানে যায় পুলিশের একটি দল। পুলিশকে দেখে ইয়াবা কারবারিরা গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। বেশ কিছু সময় গোলাগুলির পর অন্যান্য ইয়াবা কারবারিরা পিছু হটলে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ দুটি দেহ পায় পুলিশ। তাদের উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক কক্সবাজারে পাঠান। পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ দুটি কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।

অন্যদিকে টেকনাফ ২নং বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দার জানান, রবিবার ভোর চারটার দিকে উপজেলার দমদমিয়া ওমরখাল নাফ নদী এলাকায় টহলে বের হন বিজিবির কয়েকজন সদস্য। এ সময় কিছু লোক মিয়ানমার থেকে ওমরখাল পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে চাইলে তাদের থামার জন্য সংকেত দেয়া হয়। কিন্তু বিজিবির সংকেত অমান্য করে উল্টো বিজিবির টহলদলের উপর অতর্কিতভাবে গুলিবর্ষণ ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে তারা। এতে বিজিবি এক সদস্য আহত হয়। আত্মরক্ষার্থে বিজিবি সদস্যরা পাল্টা গুলি ছোড়ে। বেশ কিছু সময় গোলাগুলির পর চোরাকারবারিরা পালিয়ে গেলে সেখানে নৌকার মধ্যে এক নারীর গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে রোহিঙ্গা নারী বলে শনাক্ত করে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে