রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, চলচ্চিত্র একটি শক্তিশালী গণমাধ্যম। চলচ্চিত্রের জীবন ঘনিষ্ঠ ও হৃদয়গ্রাহী আবেদন সব শ্রেণি-পেশার মানুষের হৃদয়কে প্রবলভাবে স্পর্শ করে। সচেতনতা সৃষ্টি এবং উন্নত সমাজ গঠনে চলচ্চিত্রের গুরুত্ব অপরিসীম। সরকার চলচ্চিত্রের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে।
আগামীকাল বুধবার (৩ এপ্রিল) ‘জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস-২০১৯’ উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
দিবসটি উপলক্ষে তিনি চলচ্চিত্র শিল্পী, কলাকুশলী, নির্মাতা, পরিচালক, প্রযোজক এবং চলচ্চিত্র দর্শকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক উদ্যোগের ফলেই বাংলা চলচ্চিত্রে প্রাণের নতুন স্পন্দন সৃষ্টি হয়। এফডিসি প্রতিষ্ঠার পর চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সৃজনশীল কর্মতৎপরতায় এদেশে বহু কালজয়ী চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে, জন্ম নিয়েছে অনেক গুণী শিল্পী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ৩ এপ্রিলকে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস’ হিসেবে ঘোষণা বাংলা চলচ্চিত্রের উন্নয়নে একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
আবদুল হামিদ বলেন, চলচ্চিত্রকে শিল্প হিসেবে ঘোষণাসহ চলচ্চিত্র নির্মাণে বিশ্বমানের সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিএফডিসি আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্প এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফিল্ম সিটি (১ম পর্যায়) প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এ ছাড়া চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনের জন্য দক্ষ কলাকুশলী সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট।
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, চলচ্চিত্র নির্মাতারা এসব সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে অধিকসংখ্যক জীবন ঘনিষ্ঠ ও বিনোদনধর্মী চলচ্চিত্র দর্শকদের উপহার দিতে সক্ষম হবেন।