অসৎ পুলিশ কর্মকর্তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে

ডেস্ক রিপোর্ট

আসাদুজ্জামান খান কামাল
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ফাইল ছবি


আদালতের তথ্যমতে, ২ লাখ পুলিশের মধ্যে মাত্র ১৩ হাজার পুলিশ অসৎ। এই কিছুসংখ্যক পুলিশের জন্য গোটা পুলিশ বাহিনীর বদনাম হচ্ছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আইন সবার জন্য সমান। পুলিশও যদি অন্যায় করে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। অসৎ পুলিশ কর্মকর্তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।

আজ বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত সভায় এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

অসৎ পুলিশ বিষয়ে আপনারা কোনো ব্যবস্থা নেবেন কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

আদালতের তথ্যমতে, ২ লাখ পুলিশের মধ্যে মাত্র ১৩ হাজার পুলিশ অসৎ। এই কিছুসংখ্যক পুলিশের জন্য গোটা পুলিশ বাহিনীর বদনাম হচ্ছে। বিষয়টির সত্যতা কতটুকু এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ ক্ষেত্রে সত্য মিথ্যার প্রশ্ন আসে না। সবার জন্যই আইন সমান।

থানার ওসিদের বিষয়ে প্রশ্ন রেখে হাইকোর্ট বলেছেন, ওসিরা যেখানে–সেখানে কোর্ট বসান। রাতে কোর্ট বসান। তারা নিজেরা বিচার বসান কীভাবে? এত সাহস তারা কোথায় পান?

এক ব্যক্তির থানায় মামলা না নেয়া এবং সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানার ওসি হাবিল হোসেনের কর্মকাণ্ড নিয়ে করা এক রিটের শুনানিতে গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন প্রশ্ন রাখেন।

আদালত বলেছেন, ১৩ হাজার পুলিশ যারা থানায় জন্য গোটা পুলিশের বদনাম হতে পারে না। অনেক পুলিশ খুব কষ্ট করে জীবনযাপন করে। আবার দেখা যায় অনেকের চার-পাঁচটা করে বাড়ি আছে।

মারধর, লুটপাট ও সীমানাপ্রাচীর ভাঙার অভিযোগে থানায় মামলা না নেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে শ্যামনগরের বাসিন্দা মো. ফজলুর করিম গত ৩ মার্চ রিটটি করেন।

এর শুনানিতে ১০ মার্চ হাইকোর্ট সংশ্লিষ্ট ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে এ বিষয়ে খোঁজখবর নিতে বলেন।

এরপর মঙ্গলবার বিষয়টি শুনানির জন্য ওঠে। এ বিষয়ে ওই দিন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সাইফুল আলম জানান, মারধর, স্বর্ণালংকার লুটপাট ও সীমানাপ্রাচীর ভাঙার অভিযোগ তোলা হয়েছে। তবে সীমানাপ্রাচীর ভাঙার ঘটনার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।

অভিযোগের কিছুটা হলেও সত্যতা আছে উল্লেখ করে আদালত বলেন, তাহলে মামলা নেয়া হলো না কেন? আমরা রুল দিয়ে দেখি, কেন ওসি মামলা নিলেন না? তারা কি সালিশ করতে বসেছেন, যে সুবিধামতো হলে মামলা নেবেন, সুবিধামতো না হলে নেবেন না? অথচ টাকা ছাড়া থানায় জিডিও হয় না।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে