নোয়াখালীর সুবর্ণচরে স্বামীকে আটকে রেখে ছয় সন্তানের জননী গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি আবুল কালাম বেচু ওরফে বেচু মাঝি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে।
বুধবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে বেচু নোয়াখালীর ২নং আমলি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। গণধর্ষণের মামলার পর সে লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে পালিয়ে যায়। সেখান থেকে বুধবার আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করে। দুপুরের পর ২ নম্বর আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নবনিতা গুহের আদালতে তাকে তোলা হবে। একই আদালতে গ্রেফতার অন্য পাঁচ আসামির রিমান্ড আবদনের শুনানি হবে। পুলিশ পাঁচ আসামির সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে।
সোমবার ধর্ষিতার স্বামীর দায়ের করা মামলায় ওই রাতে ও মঙ্গলবার সকালে তিনজনকে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- উত্তর বাগ্যা গ্রামের সেকান্দার মিয়ার ছেলে রুবেল (২২), একই গ্রামের ইউছুফ মাঝির ছেলে আরমান (২৪) ও আবুল কাশেমের ছেলে রায়হান (২০)। এর আগে ওই মামলায় সোমবার দুপুরে উত্তর বাগ্যা গ্রামের আবুল বাশার ও ইউসুফ মাঝিকে সুবর্ণচর থেকে গ্রেফতার করে ডিবি ও চরজব্বার থানা পুলিশ। এ মামলায় আট আসামির মধ্যে এ পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হলো। তবে ঘটনার পর থেকেই প্রধান অভিযুক্ত আসামি ছেলে বেচু মাঝি (৪০) পলাতক ছিল।
রোববার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নিজের পছন্দের প্রতীকে ভোট দেওয়ায় নোয়াখালীর সুবর্ণচরে বাড়ি যাওয়ার সময় স্বামীকে আটক রেখে গৃহবধূকে তুলে নিয়ে একটি কলাবাগানে বেচু মাঝি, ফজলু, আবুল বাসার, রুবেল, রায়হানসহ তাকে গণধর্ষণ ও নির্যাতন করে।