১৫১৯টি ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকদের মধ্য প্রধান শিক্ষক ২৫০০ টাকা এবং সহকারী শিক্ষকরা ২৩০০ টাকা ভাতা পান। বাকি মাদরাসার শিক্ষকরা ৩৪ বছর ধরে বেতনভাতা বঞ্চিত
প্রতিষ্ঠার ৩৪ বছর পার হয়ে গেলেও কোনো বেতন ভাতা পান না প্রায় ১৫ হাজার স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকরা। ফলে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য একাধিকবার আন্দোলন করেছেন তারা। তারই ধারাবাহিকতায় আবারও রাজেপথে নেমেছেন শিক্ষকরা।
জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার চতুর্থ দিনের মতো জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকরা। এর আগে মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষকরা। এছাড়া দাবি আদায়ের জন্য প্রয়োজনে অনশনও করবেন তারা।
মানববন্ধন থেকে শিক্ষকরা বলেন, ১৯৯৪ সালে একই পরিপত্রে রেজিস্টার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষকদের বেতন ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন মেয়াদে সরকার ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাতমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করে। এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রতিমাসে ২২ হাজার থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পান। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো একই দায়িত্ব পালন করার পরও ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকরা তেমন কোনো বেতন ভাতা পান না।
বক্তারা আরও বলেন, ১৫১৯টি ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকদের মধ্য প্রধান শিক্ষক ২৫০০ টাকা এবং সহকারী শিক্ষকরা ২৩০০ টাকা ভাতা পান। বাকি মাদরাসার শিক্ষকরা ৩৪ বছর ধরে বেতনভাতা বঞ্চিত। এই দুর্মূল্যের বাজারে যা অমানবিক ও শিক্ষকদের অবমাননা ছাড়া আর কিছুই না। শিক্ষকদের মানবেতর জীবনের কথা চিন্তা করে রেজিস্টার এসব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসাগুলো শিগগিরই জাতীয়করণের দাবি জানান শিক্ষকরা।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সমিতির মহাসচিব কাজী মোখলেছুর রহমান, সহ-সভাপতি মাও মো শাহজাহান, এবিএম আব্দুল কুদ্দুস, আবু মুস ভূইয়া, মুফতী মাসুম বিল্লাহ্ নাফিয়ী, মো সামসুল আলম, হাফেজ মাহমুদ, নাসরিন বেগম, আলেয়া খাতুন, হাফিজা খাতুন প্রমুখ।
