প্রাকৃতিক নানা দুর্যোগের কারণে বাংলাদেশের প্রতি তিনজন শিশুর মধ্যে একজন মৃত্যুঝুঁকিতে রয়েছে। এসব দুর্যোগের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা অন্যতম। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে ৪০ শতাংশই শিশু।
জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের ১ কোটি ৯০ লাখ শিশু স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে।
এসব শিশু ঘূর্ণিঝড়, বন্যাসহ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের হুমকিতে রয়েছে। সেজন্য জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগের ঝুঁকি মোকাবিলায় আরও বেশি উদ্যোগী হতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার সংস্থাটি থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাকৃতিক নানা দুর্যোগের কারণে বাংলাদেশের প্রতি তিনজন শিশুর মধ্যে একজন মৃত্যুঝুঁকিতে রয়েছে। এসব দুর্যোগের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা অন্যতম। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে ৪০ শতাংশই শিশু।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বয়স্কদের তুলনায় শিশুরা বেশি ঝুঁকিতে আছে। ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ১ কোটি ৯৪ লাখ শিশুর মধ্যে ১ কোটি ২০ লাখ শিশু নদী ভাঙনের এলাকা কিংবা এর কাছাকাছি থাকে। এদের মধ্যে ৪৫ লাখ শিশুর বসবাস উপকূলীয় এলাকায়, সেখানে ঘূর্ণিঝড়ের হুমকিতে থাকতে হয় তাদের।
তাছাড়া খরার ঝুঁকিতে রয়েছে আরও ৩০ লাখ শিশু। এসব ঝুঁকির কারণে গ্রাম এলাকার মানুষেরা শহরের দিকে ধাবিত হতে বাধ্য হচ্ছে। আর সেখানে যাওয়ার পর জোরপূর্বক শ্রম কিংবা বাল্য বিয়ের ঝুঁকির মুখোমুখি হতে হচ্ছে শিশুদের।
ইউনিসেফের গবেষণা প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন সিমন ইনগ্রাম। তার ভাষ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের শহরগুলোতে প্রায় ৬০ লাখ জলবায়ু উদ্বাস্তু রয়েছে এবং এ সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
তিনি বলেন, বন্যাজনিত বিপর্যয়গুলো চরম পর্যায়ের হয়ে থাকে এবং প্রায় প্রতি বছরই এ ধরনের ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশে সর্বশেষ বড় ধরনের বন্যা হয়েছিল ২০১৭ সালে। ওই বছর একের পর এক বন্যায় ৮০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো বন্যা, ঝড়ের মতো দুর্যোগ মোকাবিলা ও জলবায়ু পরিবর্তন রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।