ফরিদপুরের বিশেষ জজ মো. মতিয়ার রহমানের আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্ত করা মামলাটির জাল দলিলে জমি কেনা-বেচার দায়ে একজন সহকারী সাব-রেজিস্ট্রার, চারজন জমির ক্রেতা-বিক্রেতা ও তিনজন সাক্ষীসহ আটজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন।
জাল দলিলে জমি কেনা-বেচার দায়ে একজন সহকারী সাব-রেজিস্ট্রার, চারজন জমির ক্রেতা-বিক্রেতা ও তিনজন সাক্ষীসহ আটজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আসামিদের মধ্যে জাল দলিল সম্পাদনকারী গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার সাবেক সহকারী সাব-রেজিস্ট্রার রবেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুইমাসের কারাদণ্ড, জমি বিক্রেতা সভারঞ্জন রক্ত, রমেশ রক্ত ও সুনীল রক্ত, জমিগ্রহীতা প্রমানন্দ মল্লিককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয়মাসের কারাদণ্ড এবং সাক্ষী নূরুজ্জামান হাওলাদার, বিপ্লব দত্ত ও আলী আকবর ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিনমাসের কারাদণ্ড পেয়েছেন।
ফরিদপুর দুদকের পিপি অ্যাড. মজিবুর রহমান জানান, কোটালীপাড়ার ৫৩নং রারিব বিল মৌজার আরএস ৪২৭নং খতিয়ানের ৩৮৮নং দাগের ৩২ শতাংশ জমি মালিক হরিপদ দত্ত। তিনি দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকায় এসএ রেকর্ডে অন্য নামে লিপিবদ্ধ হয়। পরে ওই জমি সরকারি ভিপি সম্পদ হিসেবে গণ্য হয়। কিন্তু ২০১২ সালের ৬ জুন ২০৬৬নং দলিলের মাধ্যমে ওই জমির ২২ শতাংশ নিজেদের নামে দলিল করে নেন আসামিরা।
মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুরের বিশেষ জজ মো. মতিয়ার রহমানের আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্ত করা মামলাটির এই রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক সহকারী সাব-রেজিস্ট্রার রবেন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও জমিগ্রহীতা প্রমানন্দ মল্লিক পলাতক, অন্যরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
ফরিদপুর দুদকের পিপি অ্যাড. মজিবুর রহমান জানান, কোটালীপাড়ার ৫৩নং রারিব বিল মৌজার আরএস ৪২৭নং খতিয়ানের ৩৮৮নং দাগের ৩২ শতাংশ জমি মালিক হরিপদ দত্ত। তিনি দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকায় এসএ রেকর্ডে অন্য নামে লিপিবদ্ধ হয়। পরে ওই জমি সরকারি ভিপি সম্পদ হিসেবে গণ্য হয়। কিন্তু ২০১২ সালের ৬ জুন ২০৬৬নং দলিলের মাধ্যমে ওই জমির ২২ শতাংশ নিজেদের নামে দলিল করে নেন আসামিরা।
২০১৪ সালে ১১ মার্চ হরিপদ দত্তের নাতনি সবিতা রানি নয়জনকে আসামি করে কোটালিপাড়া থানায় জাল দলিলের অভিযোগে মামলাটি করেন। ফরিদপুরের দুদক মামলাটির তদন্ত করে গত বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট দেয়।