কর্ণফুলীর তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ হাইকোর্টের

ডেস্ক রিপোর্ট

ট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তীরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা অবিলম্বে উচ্ছেদের জন্য বন্দর চেয়ারম্যানের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে উচ্ছেদ শেষে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি আদালত এ বিষয়ে আগামী ১৯ মে পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ঠিক করে দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) এ-সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি নিয়ে হাই কোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

universel cardiac hospital

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। শুনানি শেষে মনজিল মোরসেদ বলেন, কর্ণফুলী নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ বন্ধ হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে আমরা আজ একটা আবেদন করেছিলাম। শুনানিতে আমরা প্রার্থনা করেছিলাম যে, পূর্বের আদেশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্য চট্টগ্রামের ডেপুটি কমিশনারসহ আরো পাঁচজনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। এখন যে জায়গাগুলোতে অবৈধ স্থাপনা আছে সে জায়গাগুলো মূলত বন্দরের অধীনে। এজন্য আমরা বন্দর চেয়ারম্যানকে একটি নির্দেশ দেয়ার পাশাপাশি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে একটি প্রতিবেদন দাখিলের আবেদন জানিয়ে শুনানি করি।

তিনি বলেন, শুনানি শেষে চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান ও বন্দর কর্তৃপক্ষকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে কর্ণফুলী নদীর পাড়ে যেসব অবৈধ স্থাপনা আছে সেগুলো সার্ভে রিপোর্ট ও আরএস খতিয়ান অনুসারে ইতোপূর্বে দেয়া ২০১৬ সালের ১৬ আগস্টের আদেশ অনুসারে এগুলো উচ্ছেদ করে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন।

কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধ দখল-সংক্রান্ত ২০১০ সালে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিট করা হয়। রিটের পর আদালত রুল জারি করেন। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি কাশেফা হোসেনের হাই কোর্ট বেঞ্চ রুল যথাযথ ঘোষণা করে ১১ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় ঘোষণা করেছিলেন।

সেই রায়ের আলোকে চট্টগ্রাম বন্দরে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়েছিল, যা কয়দিন চলার পর বন্ধ হয়ে যায়। এরপর পুনরায় একটি আবেদন করে বিষয়টি আদালতকে অবহিত করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে